জাতীয় সাহিত্য সংগঠন,কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদ আয়োজিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টে শহিদদের স্মরণে অনুষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু সাহিত্য সম্মেলন ২২। দেশের প্রায় দুই শতাধিক কবি সাহিত্যিকদের উপস্হিতিতে অনুষ্ঠানে ছিলো, আলোচনা-নিবেদিত-কবিতা-ছড়া-পুঁথিপাঠ, বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পুরস্কার ও জয় বাংলা পদক প্রদান এবং বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত স্বরচিত কবিতা পাঠ প্রতিযোগীতা।
১২ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে, ঢাকাস্থ তোপখানা রোডে, বাংলাদেশ শিশু কল্যান পরিষদের হলরুমে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কবি ও কলামিষ্ট মীর আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক পুঁথিসম্রাট কবি জালাল খান ইউসুফীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের শুভ-উদ্বোধন করেন, সংসদ সদস্য-কবি-গীতিকার-সুরকার-কণ্ঠশিল্পী-এডভোকেট জাকিয়া তাবাসসুম জুই এমপি।প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পদকে ভূষিত বিশিষ্টি শিক্ষাবিদ ও লেখক প্রফেসর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। বিশেষ অতিথিরবক্তব্য রাখেন, বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি নাসির আহমেদ। আনন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি স.ম. শামসুল আলম। জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: মোফাজ্জল হোসেন। রানি শংকৈল কলেজের অধ্যাপক কবি আনোয়ারুল ইসলাম।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন- মুক্তিযুদ্ধ ও ১৫ আগস্টে শহিদ পরিবারের কৃতিসন্তান কবি ও কথাসাহিত্যিক আবুল বাসার সেরনিয়াবাত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সংগঠনের উপদেষ্টা কবি আরিফ মঈনুদ্দীন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি কবি ডা. আতিয়ার রহমান। সহসভাপতি কবি মাজেদা রফিকুননেছা, সহসভাপতি তাঁতীকন্যা খ্যাত কবি শাহনাজ প্রধান, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক কবি মোহাম্মদ বাদশা গাজী, সহ-সাধারণ সম্পাদক কথাশিল্পী আতিক খন্দকার, সহ-সাধারণ সম্পাদক কবি হিলারী হিটলার আভী, সাংগঠনিক সম্পাদক কবি শিবির আহমেদ লিটন। পুথিপাঠ করেন, কবি হাসিনা মমতাজ, সমবেত কণ্ঠে পুঁথিপাঠ করে মাসুম আজিজুল বাসারের ত্রিলোক ।
প্রতিযোগীতায় উর্ত্তীণ প্রথম ১০ জন বিজয়ীকে কাব্যকথা প্রকাশনীর পক্ষ থেকে প্রদান করা হয় পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যের বই। প্রথম স্থান অধিকারী খান আফরোজ জাবির, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী শামীমা আক্তার, তৃতীয় স্থান অধিকারী সাবরিনা জাহানকে বইয়ের সাথে ক্রেষ্ট ও অভিনন্দনপত্র প্রদান করা হয়। ৪র্থ থেকে ১০ স্থান অধিকারীরা হলেন খন্দকার মাহবুব, সোয়াইব ভূইয়া, উদয়ন বড়ুয়া, মো: শামসুল হক, মোঃ রফিকুল ইসলাম, সানজিদা ইসলাম বীনা, মো: আবদুর রাজ্জাক।
বাচিক পাঠশালার সদস্যগণ। উপস্থিত আরো ৫০ জন কবিকে উত্তরিয় পরিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। নিবেদিত কবিতাপাঠ প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন- কবি ডা: আতিয়ার রহমান, কবি হিলারী হিটলার আভি, কবি উম্মে হাবিবা সূচনা। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পুরস্কার ও জয় বাংলা পদক প্রদান করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পুরস্কার-২২ প্রাপ্তরা হলেন- কবি ফারুক প্রধান (কাব্যসাহিত্যে), কথাশিল্পী গাজি আব্দুল আউয়াল সবুজ, স্বাধীনতার বাতিঘরঃ শেখ মুজিবুর রহমান’ জীবনীগ্রন্থের জন্য), গীতিকবি মো: আব্দুর রাজ্জাক (গীতিসাহিত্যে অবদানের জন্য), প্রাবন্ধিক আনোয়ারুল ইসলাম (প্রবন্ধসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য), কথাশিল্পী হুমায়ুন কবীর হিমু (কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য), কবি খন্দকার মাহবুবু-ই-এলাহী (কাব্যসাহিত্যে), কবি চকিত প্রাচুর্য (কাব্যসাহিত্যে), কবি এস এম শামসুল হক, (ভাটির টানে’ বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কাব্যগ্রন্থের জন্য)।
জয় বাংলা পদক-২২ প্রাপ্তরা হলেন- জাহিদুল হক দানিছ (শিক্ষানুরাগী), শেখ আসাদুজ্জামান জুবায়ের (সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য), মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা (তৃণমূল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাওয়ায়), আতাহারুল ইসলাম চৌধুরী হেলাল (তৃণমূল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাওয়ায়), কবি শাহনাজ প্রধান (তৃণমূল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাওয়ায়), উদয়ন বড়ুয়া ঝুন্টু (সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য), আলহাজ্ব লায়ন কবি এম এ রশিদ (সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য), গল্পকার কাপ্তান নূর (ছোটগল্পের জন্য)।
নিবেদিত ছড়া-কবিতা পাঠ করেন- কবি গাজী মাজহারুল ইসলাম, কবি মোঃ রেজাউল ইসলাম, কবি মোঃ হুমাযূন কবির, কবি শাহাজাদা সেলিম, কবি বিমল সাহা, কবি সরকার সুমন, কবি চকিত প্রাচুর্য, কবি মুহম্মদ ওবায়দুল্লাহ, কবি প্রিন্স মরিুজ্জামান, কবি গোবিন্দ লাল সরকার, কবি এলিজা রহমান, কবি এসএম শহীদুল্লাহ, কবি জুলিয়া আবেদীন, কবি সাফওয়া প্রমূখ।সবশেষে পুঁথিসম্রাট জালাল খান ইউসুফীর পুঁথিপাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।