যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে অব্যাহতি

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: আওয়ামী যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে।

শনিবার রাতে তার অব্যাহতি পত্রে সই করেছেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান লিখিল।

পরে রাতেই অব্যাহতি পত্র ব্যারিস্টার সুমনের ইমেইলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার রাতে মাইনুল হোসেন খান লিখিল যুগান্তরকে বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের জন্য তাকে (ব্যারিস্টার সুমনকে) সাময়িক অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান নিখিল।

একই বিষয়ে যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিফুর রহমান মাসুদ  বলেন, শনিবার রাতে ব্যারিস্টার সুমনের অব্যাহতি পত্রে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর করেন। পরে রাতেই সেটা তার ইমেইলে পাঠানো হয়েছে। এই অব্যাহতি পত্র ডাকযোগেও ব্যারিস্টার সুমনের কাছে পাঠানো হবে।

জানা যায়, ৪ আগস্ট রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি দলীয় কর্মসূচিতে স্লোগান দিয়েছিলেন সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন।  ওই স্লোগানের ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ৬ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে ওসির এই স্লোগানের সমালোচনা করেন যুবলীগ নেতা ব্যারিস্টার সুমন।

লাইভে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, শেখ কামাল সাহেবের জন্মদিনে শরীয়তপুরের পালং থানার ওসি আক্তার হোসেনের আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগান দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই জিনিসটা দেখার পর আমার কাছে মনে হয়েছে দু-একটা কথা বলা দরকার। আওয়ামী লীগের স্লোগান দেওয়ার মানুষ কী এতই কম যে একজন ওসি সাহেবের এই স্লোগান দিতে হবে। আমি খেয়াল করে দেখলাম যে উনি বলছেন আবেগ থেকেই স্লোগান দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমার কথা হচ্ছে, আপনি যখন সরকারি দায়িত্বে থাকবেন কিংবা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন, তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে আবেগ দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু আপনার বিরুদ্ধে পানিশমেন্ট নিয়ে আসা উচিত। কিন্তু তিনি এখনো ওই জায়গাতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থেকে দলের স্লোগানের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখানোয় ব্যারিস্টার সুমনকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগেও ‘অতিবিপ্লবী’ আচরণের জন্য ব্যারিস্টার সুমনকে শোকজ করা হয়েছিলো। তবে সেই শোকজের ‘সঠিক’ জবাব সুমন দিতে পারেননি বলে যুবলীগ থেকে জানানো হয়।

২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগের ২০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।  ওই কমিটিতে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে আইন বিষয়ক সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছিল।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *