আজিজুল ইসলাম সজীব :: সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ত্রুটিপূর্ণ কাগজ নিয়েও দূরপাল্লা বিলাসবহুল যানবাহনগুলো চলাচল করে আসছে। এছাড়া দূরপাল্লার বিলাসবহুল গাড়ীগুলোর অধিকাংশ চালকরাও লাইসেন্সধারী নন।
অনেক চালকরা আবার ছোট গাড়ীর লাইসেন্স দিয়ে বড় ও দূরপাল্লার গাড়ীগুলো চালিয়ে আসছেন বলেও গণপরিবহণের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এসব পরিবহণগুলোর প্রভাবশালী মালিক পক্ষের ক্ষমতার জোরে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকেন। এতে দূরপাল্লার এসব বাসগুলো কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া গতিতে চলার কারণে ক্রমেই সড়ক দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়ে ঝরে যাচ্ছে শত-শত তাজা প্রাণ। দুর্ঘটনা ঘটানো দুর পাল্লার গাড়ীর অভিযুক্ত চালক ও মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলেও আইনের ফাঁকে তারা অনায়াসেই পার পেয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে জনমনে ক্ষোভের শেষ নেই।
সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে লাইন্সেস ছাড়া গাড়ি চালানো যাবেনা সরকার ঘোষিত এই উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করতে বৃহস্পতিবার দুপুরে লাইসেন্সবিহীন চালকদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে চালানো বিলাসবহুল এসব গণপরিবহণে জরিমানা আদায় করায় অনেকেই ওসমানীনগর উপজেলা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়ে অভিযানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।
বেশ কয়েকটি মহাসড়কের সম্মুখে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মহাসড়কে চলাচলকারী ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইন্সেস বিহীন চালকদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানা আদায় করেন।
এসময় কাগজে ত্রুটি থাকায় গ্রীণ লাইন পরিবহনের একটি ডেকার বাস বা দুতলা বাসের চালকের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা, প্রয়োজনীয় কাগজ না থাকায় হানিফ পরিবহনের একটি বাসের চালকের কাছ থেকে চার হাজার দুইশত টাকা, হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসের একটি বাসের চালকের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা, কুমিল্লা ট্রান্সপোটের একটি বাসের চালকের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা আদায় করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী বহন, কাগজপত্রে ত্রুটি ও লাইসেন্স না থাকার কারণে ছোট-বড় আরো একাধিক যানবাহনের চালকের কাছ থেকে মোট ১৫ হাজার ৭০০ জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমান পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা বলেন, লাইসেন্স বিহীন চালকদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপি অভিযানের অংশ হিসেবে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হয়েছে, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, পরিবহণগুলোর মালিক পক্ষের ক্ষমতার জোরে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে চাইলেও মালিকদের ক্ষমতার জোরে বিরত থাকতে হয়।