আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জীবন উৎসর্গকারী বীর সৈনিক ওসমান হাদি: আরিফুল হক চৌধুরী

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মনোনীত সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র জননেতা আরিফুল হক চৌধুরী।

শুক্রবার এক শোক বার্তায় আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, হাদির এই আকস্মিক মৃত্যুতে স্তব্ধ হয়ে পড়েন গোটা দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমে আসে দেশের রাজনীতির অঙ্গনেও। শহীদ ওসমান হাদি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে থাকবেন।  জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন শহীদ শরিফ ওসমান হাদি । সব ধরনের আধিপত্যবাদ ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা ছিল তার মূল উদ্দেশ্য। গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ, ন্যায়বিচার ও রাজনৈতিক জবাবদিহি করতে তার সংগ্রামী আন্দোলন বাংলাদেশের হৃদয়ে শ্রদ্ধার সাথে লেখা থাকবে বিল্পবী হাদির নাম। তিনি ফ্যাসিবাদীদের আতঙ্ক ছিলেন। শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসরে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির ষড়যন্ত্রমূলক হত্যাকাণ্ডে তাঁর জীবনপ্রদীপ নিভে গেলেও, তার আদর্শ ও সংগ্রামের চেতনা অম্লান থাকবে।  বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করুন।

শোক বার্তায় আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, তরুণ নেতা শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। কঠিন এই সময়ে তার পরিবার, বন্ধু আর সমর্থকদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। উল্লেখ্য, তিনি বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে নির্বাচনি প্রচারণার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন হাদি। টানা ৬ দিনের মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে হার মানলেন এই সাহসি এই নেতা।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *