মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে : মিফতাহ্ সিদ্দিকী

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও হলিসিটি কলেজিয়েট স্কুলের চেয়ারম্যান মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেছেন, বিজয় দিবস শুধু একটি ইতিহাসের স্মরণ নয়, এটি আমাদের দায়িত্বের কথাও মনে করিয়ে দেয়। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি, আর সেই রাষ্ট্রকে সুখি, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর হিসেবে গড়ে তোলাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল স্বপ্ন। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তার স্বাধীনতার ঘোষণা মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ঐক্য ও দৃঢ়তা সৃষ্টি করেছিল। অপরদিকে, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানীর কৌশলগত নেতৃত্ব মুক্তিবাহিনীকে সুসংগঠিত করে বিজয়ের পথ সুগম করে। স্বাধীনতা অর্জনের পর তা রক্ষা করা ছিল আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সংকটকালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র, বহুদলীয় ব্যবস্থা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব আজ তরুণ প্রজন্মের হাতে। তারেক রহমান সেই বাস্তবতার আলোকে একটি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তার রাষ্ট্র সংস্কারের ভাবনা তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও উদ্ভাবনের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক, বিজ্ঞানী, শিক্ষক ও উদ্যোক্তা। তোমাদের সততা, দেশপ্রেম ও জ্ঞানচর্চাই নির্ধারণ করবে আগামীর বাংলাদেশের পথচলা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে যদি তোমরা মানবিকতা, ন্যায়বোধ ও দায়িত্বশীল নাগরিকত্ব গড়ে তুলতে পারো, তবে বাংলাদেশ হবে সত্যিকার অর্থে সুখি, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর।
বুধবার দুপুরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে হলিসিটি কলেজিয়েট স্কুল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হলিটিসিটি কলেজিয়েট স্কুলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনহার মিয়ার সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মইনুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সৈয়দ নাসির উদ্দীন রহ স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান জানাব হুমায়ুন আহমেদ মাসুক, সিলেট কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি মাসুক মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাজিদুর রহমান মুরাদ এবং কাজী লুৎফুর রহমান।
কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *