সিলেট নগরীর কাজলশাহস্থ এন জে এল ইএনটি সেন্টার এর কর্ণধার বরেণ্য চিকিৎসক ডা. নূরুল হুদা নাঈমের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১২ জন রোগীর নাক, কান, গলার বিভিন্ন অপারেশন করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোঃ জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, ডা. নাঈম একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে এবং নিজের জন্মদিনে এই যে বিনামূল্যে অপারেশন করা হচ্ছে এখানে কিন্তু শুধু শ্রম না অনেক খরচের ও ব্যাপার রয়েছে যা তিনি বহন করে যাচ্ছেন, তাঁর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই এবং অনান্যরা ও এভাবে এগিয়ে আসলে সমাজের সুবিধাবঞ্চিতরা উপকৃত হবেন বলে মনে করি। আমি এনজেএল প্রতিষ্টানটির উত্তরোত্তর সমৃদ্বি ও সফলতা কামনা করছি এবং ডা. নাঈমের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি একরামুল করিম এনজেএল এর কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে সকলের সহযোগীতায় আর বেশী সংখ্যক রোগী উপকৃত হবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্টানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এনজেএল ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব ও এনজেএল ইএনটি সেন্টারের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এডভোকেট রেজাউল করিম তালুকদার।
সিলেট জজকোর্ট এর এডিশনাল পিপি এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপির উপস্থাপনায় উক্ত অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন, প্রথম আলো সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো চীফ কার্যালয়ের সুমন কুমার দাশ, হিলটাউন হোটেল এর কর্ণধার মনসুর মিয়া, বিশিষ্ট মিডিয়া কর্মী মঈন উদ্দিন মঞ্জু, এনেস্থেসিয়া ডাঃ আহমেদ রুবেল, ডাঃ মঈনুল ইসলাম, আরো বক্তব্য রাখেন হিলটাউন হোটেল এজিএম জাবেদ আহমেদ।
অনুষ্টানের সভাপতির বক্তব্যে ডা. নূরুল হুদা নাঈম বলেন, আল্লাহ যে নিয়ামত দান করেছেন আমাকে ডাক্তার বানিয়েছেন, অপারেশন করার ক্ষমতা দিয়েছেন সেই সব নিয়ামতের হক আদায় করার উদ্দেশ্যই এ আয়োজন। আমরা সবাই যে যার অবস্থান থেকে এরকম বিভিন্ন উদ্যোগ নিলে সমাজের সুবিধাবঞ্চিতরা উপকৃত হবে নিঃসন্দেহে।
উল্লেখ্য এনজেএল এর সামাজিক কার্যক্রমের আওয়াতায় বিজয় দিবসে ১২ জন রোগীর, স্বাধীনতা দিবসে ১০ জন এবং ৩০ ডিসেম্বর জন্মদিনে “আসুন জন্মদিনে একটি ভালো কাজ করি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিবছর এনজেএল টিম্পানোপ্লাস্টি ডে পালিত হয় এবং এ উপলক্ষে ২০ জন রোগীর কানের পর্দা জোড়া লাগানোর অপারেশন টিম্পানোপ্লাস্টি করা হয়। এখানে আরো উল্লেখ করা প্রয়োজন যে ডা. নাঈম প্রতি সপ্তাহে একজন রোগীর ফ্রি অপারেশন এবং অন্য ২জন রোগীর সার্জন চার্জ ফ্রি অপারেশন করে থাকেন। এক্ষেত্রে রোগীকে স্থানীয় মসজিদের ইমাম অথবা প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট হতে অস্বচ্ছলতার একটি সার্টিফিকেট আনতে হয়।
বিভিন্ন জাতীয় দিবস বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে ডাঃ নাঈম বলেন, শহীদেরা তাদের জীবন দিয়ে ত্যাগের মহিমা দেখিয়েছেন আর আমরা এ সামান্য ত্যাগের মাধ্যমে সুস্থ ও মানবিক সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে চাই। ডা. নাঈম আরো বলেন, আমরা যা পেয়েছি সবই আল্লাহর নিয়ামত, পৃথিবীর কোন কিছুরই মালিক আমরা নই, আমরা শুধু জিম্মাদার, এসবের হক্ব যেনো পরিপূর্ন ভাবে আদায় করতে পারি সেই তৌফিক যেন আল্লাহ দান করেন এবং কিয়ামতের দিন এর জরিয়ায় যেন উত্তম প্রতিদান দেন। আগত সেবা প্রার্থী ও হাসপাতালের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ জানান। বিজ্ঞপ্তি


