বহুল প্রচারিত জাতীয় গণমাধ্যম দৈনিক যুগান্তর-এর প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণে গত ২ নভেম্বর ‘ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল/ ঘুস সিন্ডিকেটে মাসে বাণিজ্য ৫০ লাখ টাকা/ সিন্ডিকেটে হোতা দুই নার্স, টাকা দিলেই মিলে ট্রেনিং, সুবিধাজনক ডিউটি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনে অসত্য ও মনগড়া ও ব্রিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করায় প্রতিবাদ করেছে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) সিলেট জেলা শাখা এবং সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত সকল নার্সিং কর্মকর্তাবৃন্দ। প্রকাশিত সংবাদে গোটা নার্সিং সমাজ ব্যাথিত ও মর্মাহত হয়েছে। প্রতিবেদনটি ফরমায়েশি, কল্পনা ও বিদ্বেষ প্রসূত। মনগড়া গল্প সাজিয়ে স্বনামধন্য নার্সিং অফিসারদের সুনাম নষ্ট করা হচ্ছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে কথিত সিন্ডিকেটের মাসে বাণিজ্য ৫০ লাখ টাকা, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ সিন্ডিকেট, ডিউটি বাণিজ্য, ট্রেনিং বাণিজ্য ও অন্যান্য গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিগত ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থায় এটি অসাধ্য ও অসৎ চক্র তাদের অতীত কৃতকর্ম ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এ ধরনের একটি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন একটি পেশাদার ও অরাজনৈতিক সেবামূলক পেশাজীবী সংগঠন। যার সাথে কোনো রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা নেই। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সংগঠনটিকে পলাতক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের স্ত্রী সেলিনা মোমেন সংগঠনটির তৎকালীন নেতৃত্বকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী বাস্তবতায় এখন সেই পরিস্থিতি নেই। নার্সরা সরকারি কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং তাদের একমাত্র লক্ষ্য হল জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। প্রকাশিত সংবাদে তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ অগ্রহণযোগ্য, অমূলক ও অপপ্রচারমূলক। যদি কোনো সত্যিকার অভিযোগ থেকে থাকে সেক্ষেত্রে সেবা অধিদপ্তর ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ ও ন্যায়নিষ্ঠ তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক, যা প্রকৃত সত্য উন্মোচন করতে সক্ষম হবে।
সংবাদটিতে বিএনএ নেতা সোহেল আহমদ ও ইমরান আহমেদ তাপাদার সহ অন্যান্য নার্সিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট গঠনের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত। এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে সংবাদ মাধ্যম একটি পেশাজীবী সংগঠনের সুনাম ও মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে এই মিথ্যা ও অসত্য তথ্যে ভরপুর প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করে সত্য তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশের প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন সিলেট শাখা।
বহুল প্রচারিত জাতীয় গণমাধ্যম দৈনিক যুগান্তরের প্রতি এই মর্মে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে যে, নার্সিং কর্মকর্তারা সর্বদা নৈতিকতার সহিত তাদের পেশাদারিত্ব পালন করে আসছেন। সকল ধরনের অসত্য ও মনগড়া অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপ গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছেন।


