কেন র‍্যাংকিংয়ে পিছিয়ে পড়ছে ভারতের পাসপোর্ট?

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্কবিশ্বব্যাপী পাসপোর্ট র‍্যাংকিংয়ে আরও নিচে নেমেছে ভারতের অবস্থান।  হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সে দেশটির অবস্থান এখন ৮৫তম, যা গত বছরের চেয়ে পাঁচ ধাপ নিচে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুয়ান্ডা, ঘানা ও আজারবাইজানের মতো ছোট অর্থনীতির দেশগুলোর অবস্থান ভারতের ওপরে।

র‍্যাংকিংয়ে পিছিয়ে পড়ার কারণ কী?

২০১৫ সালে ভারতের ভিসা-মুক্ত গন্তব্য ছিল ৫২টি, সে বছরও র‍্যাঙ্কিং ছিল ৮৫তম।  ২০২৫ সালে গন্তব্য বেড়ে ৫৭টিতে পৌঁছালেও অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মূল কারণ বৈশ্বিক ভ্রমণ প্রতিযোগিতার তীব্রতা। দেশগুলো দ্রুত নিজেদের মধ্যে ভ্রমণ অংশীদারিত্ব বাড়াচ্ছে।

হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের ২০২৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সালে যেখানে একজন ভ্রমণকারীর জন্য গড়ে ভিসা-মুক্ত গন্তব্য ছিল ৫৮টি, তা ২০২৫ সালে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ১০৯টি হয়েছে। যেমন—চীন গত এক দশকে ভিসা-মুক্ত গন্তব্যের সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৮২ করেছে, ফলে তাদের র‍্যাঙ্কিং ৯৪তম থেকে ৬০তম-এ উন্নীত হয়েছে।

 

আর্মেনিয়ায় নিযুক্ত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত অচল মালহোত্রা মনে করেন, পাসপোর্টের শক্তি কেবল ভিসা সুবিধার ওপর নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির ওপরও নির্ভরশীল।

তিনি বলেন, ১৯৭০-এর দশকে ভারতীয়রা অনেক পশ্চিমা ও ইউরোপীয় দেশে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের সুযোগ পেত। কিন্তু ১৯৮০-এর দশকে খালিস্তান আন্দোলন ও পরবর্তী রাজনৈতিক উত্থান ভারতের ভাবমূর্তিকে দুর্বল করেছে।

মালহোত্রা আরও উল্লেখ করেন, অনেক দেশ এখন অভিবাসীদের নিয়ে সতর্ক হচ্ছে। ভারত থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ অন্য দেশে অভিবাসন বা ভিসার মেয়াদ শেষেও থেকে যাওয়ায় ভারতের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

এছাড়া ভারতের পাসপোর্ট এখনো নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০২৪ সালে দিল্লি পুলিশ পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে ২০৩ জনকে গ্রেফতারর করেছে। এছাড়া, ভারতের কষ্টসাধ্য অভিবাসন প্রক্রিয়া এবং ধীরগতিতে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্যও দেশটির ভাবমূর্তিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *