সিলেট কল্যাণ সংস্থা (সিকস), সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার যৌথ আয়োজনে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিলেট-ঢাকা রেলপথকে ডাবল করা, নতুন ট্রেন চালু ও রেলের মান উন্নয়নের দাবীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সহ ২৩ উপদেষ্টা (মাধ্যমঃ জেলা প্রশাসক, সিলেট) বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
জাতীয় যুব দিবস ২০১০-এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত, সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সিবিযুকস’র বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহবুব ইকবাল মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন চৌধুরী মিলাদ, যোগাযোগ ও সমন্বয় সম্পাদক দিপক কুমার মোদক বিলু, সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ আশরাফ উদ্দিন, সহ-সভাপতি এড. মোহাম্মদ কামাল মিয়া, সিলেট মহানগর কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রমজান আহমদ শাকিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ ফুজায়েল আহমদ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক দিলীপ আচার্য ও মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর মোঃ ছাইফুল ইসলাম।
স্মারকলিপির বিষয়বস্তুঃ আমরা বৃহত্তর সিলেটের নাগরিকরা বিভিন্নভাবে উন্নয়ন বঞ্চিত। অথচ বাংলাদেশের মধ্যে অধিকাংশ রেমিট্যান্স যোদ্ধারা সিলেট বিভাগের। সিলেট উন্নয়নের দিক থেকে যতটুকু থাকার কথা ততটুকু নেই। সিলেটে মানসম্পন্ন রেলপথ নেই, মহাসড়কের বেহাল দশা ও আকাশপথে সামর্থ্যরে বাহিরে সিলেট-ঢাকা যাতায়াতে অতিরিক্ত ভাড়া। যার ফলে আমরা সিলেটবাসী সিলেট-ঢাকা যাতায়াতে চরম ভোগান্তিন্তে রয়েছি। দীর্ঘদিন থেকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ৬ লেনে পরিণত করার জন্য কাজ চলছে। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের কাজের জন্য মহাসড়কে প্রায়শই মারাত্মক যানজট লেগে থাকে। ৬/৭ ঘন্টার রাস্তা যানজটের কারণে ১২/১৫ ঘন্টা লেগে যায়। এই কারণে মহাসড়কের চেয়ে সিলেট-ঢাকা রুটে রেলপথ ও বিমান পথ বেশী ব্যবহার করা হচ্ছে। বিমান পথের ভাড়া অতিরিক্ত হওয়ায় সাধারণ জনগণ রেলপথকে বেশী প্রাধান্য দিচ্ছেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু কর্মকর্তাদের হয়রানী, হিজড়াদের চাঁদাবাজি, টিকেট কালোবাজারী, ভিক্ষাবৃত্তি, অতিরিক্ত ভাসমান ব্যবসায়ী ও বগিতে মাতাতিরিক্ত যাত্রী উঠানামা বেড়ে গেছে। সিলেট-ঢাকা রেলপথকে ডাবল করা, নতুন ট্রেন চালু ও রেলের মান উন্নয়ন করা বর্তমান সময়ে সিলেটবাসীর জন্য খুবই প্রয়োজন। সিলেট-ঢাকা রুটে আন্ত:নগর চারটি ট্রেন রয়েছে। এরমধ্য থেকে একটি ট্রেনকে সিলেট-ঢাকা রুটে বিরতীহীনভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করলে সিলেটবাসী উপকৃত হবেন। সিলেট-চট্রগ্রাম রুটে দুইটি আন্ত:নগর ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু আমরা সিলেটবাসী সিলেট থেকে কক্সবাজার সরাসরি ট্রেনে যেতে পারিনা। সিলেট-চট্রগ্রাম রুটের দুইটি ট্রেনের মধ্যে একটি কক্সবাজার পর্যন্ত চালু করলে ভ্রমন পিপাসু নাগরিকদের জন্য যাতায়াতে সুবিধা হতো। আপাতত নতুন ট্রেন চালুর পূর্বে উপরোল্লিখিত প্রস্তাবটি আমলে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আপনার দৃঢ হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সিলেট-ঢাকা, সিলেট-চট্রগ্রাম, সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে বিরতীহীন নতুন ট্রেন চালু, রেলপথকে ডাবল লাইনে উন্নীতকতরণ, ট্রেনের মান উন্নয়ন,সিলেট-ছাতক রুটে পূনরায় ট্রেন চালু, যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন ও সিলেটের সাথে চলাচলকারী ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় রোধে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে বাস্তবায়ন করতে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।