বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এদিন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে রয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যান্যরা।
তদন্তকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেশ কয়েকটি ফোনালাপ জব্দ করেন প্রসিকিউটর তানভির জোহা। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় তিনি সেসব ফোনালাপ বাজিয়ে শোনান ট্রাইব্যুনালের ওয়েবসাইটসহ সব ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তার জবানববন্দি সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে।
এর আগে, ২৩ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালের বিচারকার্যের শুরুতে ৪৫ নম্বর সাক্ষী হিসেবে দেওয়া অবশিষ্ট সাক্ষ্য দেন শাহেদ জোবায়ের লরেন্স। এরপর ৫০তম সাক্ষীর সাক্ষ্য শুরু হয়। জব্দ তালিকার সাক্ষী হিসেবে আরও দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার রেকর্ড ও লাইব্রেরি ইনচার্জ মো. কামরুল হোসাইন ও আনিসুর রহমান। তাদের জেরা করেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী।
২২ সেপ্টেম্বর ৪৯তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন শহীদ মাহামুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী। এর মধ্য দিয়ে ঘটনার সাক্ষ্য সম্পন্ন করেন প্রসিকিউশন। বিশেষসহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলেই শুরু হবে যুক্তিতর্ক।
এদিকে, আজ সকালেও মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলার অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে। তার উপস্থিতিতেই জবানবন্দি দিচ্ছেন সাক্ষীরা।
গত ২ সেপ্টেম্বর ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন চৌধুরী মামুন। তার জেরা শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালানো হয়েছে জানিয়ে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। একইসঙ্গে অজানা অনেক তথ্য ট্রাইব্যুনালের সামনে এনেছেন।
সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। আর এসবের জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।