ভোলাগঞ্জে এলসি’র ৩ কাটি টাকার পাথর লুটের অভিযোগ

কানো নোটিশ ছাড়াই অভিযান চালিছে ভোলাগঞ্জের পাথর ডাম্পিং এলাকায় ভাংচুর চালিয়েছে প্রশাসন। এতে প্রায় চার কোটি টাকার মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসন দিনে অভিযান চালিয়ে ভাংচুরের পর রাতে স্থানীয় বিএনপি নেতা শওকত আলী বাবুলের নেতৃত্বে বালু ও পাথরখেকোরা ডাম্পিংয়ে থাকা এলসির প্রায় ৩ কোটি টাকার পাথর লুট করা হয়েছে। গত ১৭ই মার্চ এই লুটপাট চালানো হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোলাগঞ্জে স্থলবন্দরের পাশে ক্ষদ্র পাথর ব্যবসায়ীর সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ তথ্যা জানানো হয়। এ সময় বক্তারা বলেন- স্থলবন্দরের ঠিকাদার ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা যোগসাজসে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ কারনে কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

 

সমাবেশে ব্যবসায়ীর বলেন- ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের ক্ষতিপুরন প্রদান ও বিএনপি নেতা শওকতকে গ্রেপ্তার না করলে তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন। তাদের অভিযোগ- শারপিন টিলা ও ভোলাগঞ্জ বাংকার এলাকার পাথর লুটপাট করা হলেও প্রশাসন সেদিকে নজর না দিয়ে যারা ট্যাক্স দিচ্ছে, ভ্যাট দিচ্ছে তাদের উচ্ছেদে নেমেছে। এটা সম্পূর্ন অমানবিক বিষয় বলে জানান তারা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ক্ষুদ্র পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শাহ আলম ভুইয়া। যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এখলাসুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানীকারক গ্রুপের নেতা আক্তারুজ্জামান নোমান, হাজী ফয়জুল হক, কাওছার আহমদ, úতিবার বিকেলে ভোলাগঞ্জে স্থলবন্দরের পাশে ক্ষদ্র পাথর ব্যবসায়ীর সমিতির সাধারন সম্পাদক সানুর মিয়া, ব্যবসায়ী নুরই মিয়া, পারভেজ আহমদ ও শফিকুল ইসলাম।

নেতৃবৃন্দ বলেণ- ভোলাগঞ্জ গ্রামের লোকজন এই জমি যুগ যুগ ধরে দখল করে চাষাবাদ এবং পরে পাথর ডাম্পিং করে আসছে। এখানে কারো একার কোনো কর্তৃত্ব নেই। ২০০৬ সাল পর্যন্ত খাজনা এই জমির খাজনা প্রদান করা হয়েছে। পাথরখেকোরা এই ভুমি দখলে নিতে প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *