যৌথ সুখ পোড়ে চিমনীর আগুনে

“দেলোয়ার হোসেন দিলু”

মায়ের হাত থেকে মাখনের গন্ধে
বের হতো আমার শৈশব
দুধে মাখনে সুখ ভাসতো থইথই
মায়ের আঁচলের ভাঁজে ভাঁজে সুখে হাসতো আমাদের মায়াবী সংসার।
আর সংসারের গৃহস্থালীর
স্বপ্ন উড়তো শৈশবের দুরন্তপনায়।

তালুতে শষ্যের তেল মেখে মেখে
একদিন ভাগ হলো কিংবধন্তীর সংসার, দাদীবুড়ির গল্প বলার উঠোন
সংকুচিত হয়ে ঢুকে গেল সময়ের
কচ্ছপের ভেতর,
বুকে আগুন নিয়ে ভাগ হলো চাল- চুলো-চিমনী
বাবার যৌবন নেমে গেলো হাঁটুর ভাঁজে,আর পায়ের গোড়ালীতে।
আমাদের সুখ অদৃশ্য হলো বাক্স বন্দী অালমিরায়, প্রজাপতি সুখগুলি আটকে গেলো সুদৃশ্য মাকড়সার জালে। আর আমরা স্বপ্ন কুড়াতে কুড়াতে ছুটে চলছি অদৃশ্য মায়ার টানে।
প্রতিদিন ঘুম চোখে জীবিকার তাগিদে হাকিয়ে ছুটাই সময়ের পঙ্কীরাজ
রোদ গ্রীস্ম পার হয়ে বেরিয়ে যেতো অসংখ্য প্রত্যাশার দীর্ঘশ্বাস। তবু ও ক্লান্ত দেহ ছুঁতে পারেনি শৈশবের অাসমান ।

এখন
চোখের মণিকোঠায় কেবলই ভাসে পুরানো সময় আর বয়েসী সংসার
অামাদের আফসোসগুলো ক্যামেরার ফ্লাসের মত জ্যাম হয়ে শুধুই চমকায়,
কোন সাধনাই ছুঁতে পারে না সুখ দিগন্তের সীমারেখা,
মায়ের চামড়ার ভাঁজে ভাঁজে
সুখ খুঁজি, স্বপ্ন খুঁজি আফসোসের দুর্ভাবনায় তা কেবলই ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকা
অার ঝাপসা চোখে ভাবতে থাকি
কোথায় সুখ কোথায় শান্তি
মনের ভেতর তখন বাজতে থাকে
অসংখ্য ব্যথার টুংটাং ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *