আবারও সিন্ডিকেটের দাপট-দাম বেড়েছে, চাল, মুরগির দাম

অর্থনীতি ডেস্ক : পোল্ট্রি বাজারে আবারও সিন্ডিকেটের দাপট বেড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে দামেও। তবে স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। মাছের সরবরাহ বাড়লেও কমেছে ক্রেতা।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

সপ্তাহের ব্যবধানে সব জাতের মুরগির দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সোনালী ও কর্কের। কেজিতে ৮০ টাকা বেড়ে মিলছে তিনশো ষাট টাকায়। সাড়ে ছয়শো টাকা কেজির নীচে মিলছে না দেশি মুরগি। ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।

মুরগির বাজারে উত্তাপ থাকলেও, স্বস্তির সুবাতাস বইছে সবজির বাজারে। গ্রীষ্মকালীন কিছু সবজি করলা, ঢেড়স, চিচিঙ্গা ছাড়া, শীতকালীন সব ধরণের সবজির কেজি এখন ৩০ টাকার মধ্যে।

মাছের বাজারে যোগান বাড়লেও কমেছে ক্রেতা। নদী ও চাষের মাছের দাম কিছুটা কমলেও, এখনও সীমিত আয়ের মানুষের হাতে নাগালে নেই ইলিশ। এক কেজি ওজনের ইলিশের জন্যে গুনতে হচ্ছে ২ হাজার টাকা।

অনেকটাই কমেছে পেঁয়াজের দর। প্রতি কেজি দেশি নতুন পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ ও পুরোনো পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে কেনা যাচ্ছে। তবে কিছুটা বেড়ে দেশি রসুনের কেজি ২৩০ থেকে ২৩৫ এবং আমদানি রসুন ২২০ থেকে ২২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত দুই সপ্তাহে কোনো কোনো চাল কেজিতেই বেড়েছে ১০ টাকা। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে মিনিকেট ও নাজিরশাইলের। খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি করছেন ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। আর নাজিরশাইল বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৮৬ টাকায়।

এদিকে রেডমিট সেক্টরে স্থিতিশীল আছে গরু আর খাসির মাংসের বাজার। এক কেজি গরুর মাংসের জন্য দিতে হবে সাড়ে সাতশো টাকা। আর খাসির মাংসের স্বাদ নিতে চাইলে দিতে হবে হাজার টাকার বেশি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *