স্বতন্ত্র যুব মন্ত্রণালয়ের দাবিতে ২ ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচী, পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান

সিলেট কল্যাণ সংস্থা, সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার যৌথ আয়োজনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১০.৩০ ঘটিকায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে যুব মন্ত্রণালয়কে আলাদা করার দাবীতে ২ ঘন্টা  অবস্থান কর্মসূচী, দুপুর ১২.৩০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সহ ২১ উপদেষ্টা বরাবরে (মাধ্যমঃ জেলা প্রশাসক, সিলেট) স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

জাতীয় যুব দিবস-২০১০ এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের সভাপতিত্বে ও সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর পরিচালনায় ২ ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশী প্রবাসী নেতা বিশিষ্ট্য সমাজকর্মী মোঃ আমিনুল ইসলাম ডিনেস, যুব নারী নেত্রী কল্পনা আক্তার, চাঁদনী আক্তার, সিকস’র কার্যকরী কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ তালেব হোসেন তালেব, সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ মুখতার আহমেদ তালুকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নাজমুল হুসাইন, সহ-সভাপতি আব্দুস সোবহান আজাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন চৌধুরী মিলাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক শাহীন আহমেদ, সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ আশরাফ উদ্দিন, সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুম মিয়াজী, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান, সিলেট মহানগর কমিটির সভাপতি জাকারিয়া মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সাকের, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম শিতাব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইব্রাহীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নুর হোসেন, প্রচার সম্পাদক দিপক কুমার মোদক বিলু, চার জেলার যুবনেতাদের মধ্য থেকে মোঃ আব্দুল আলী, মোঃ কালাম হোসেন, মোঃ পিকুল হোসেন, প্রবাসী যুবনেতা মোঃ জিল্লুর রহমান জুনেল, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রাহুল সেন সৌরভ। শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের নেতৃত্বে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অর্ধশতাধিক যুবপ্রেমী সচেতন নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপির বিষয়বস্তুঃ হযরত শাহজালাল (রহঃ) ও হযরত শাহপরাণ (রহঃ) এর আধ্যাত্মিক স্মৃতি বিজড়িত পূণ্যভূমি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর বৃহত্তর সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে দেশ পরিচালনায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পাওয়ায় আপনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের নতুনভাবে পথচলা শুরু হয়। ছাত্রজনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জন্য হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও সার্বজনীন শান্তি আবার ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই শান্তিকে অস্থিতিশীল করতে একটি কুচক্রীমহল সবসময়ই অপচেষ্টায় লিপ্ত। এদেরকে প্রতিহত করতে সর্বস্তরের ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, সিন্ডিকেটবাজ, পণ্যের অনাকাঙ্খিত মজুদদার ও অধিক মুনাফাখোরদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে ঘোষনার দাবি জানাই। সাথে সাধারণ জনগণের টাকায় পরিচালিত সর্বপ্রকার সরকারী অফিস থেকে রাজনীতি বন্ধ করার দাবি জানাই।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে যুব মন্ত্রণালয়কে স্বতন্ত্র যুব মন্ত্রণালয় করা সময়ের দাবি। দক্ষ যুব জনগোষ্ঠী  তৈরীতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ হলো যুব সমাজ। অথচ এই বৃহৎ যুব জনগোষ্ঠীকে যেভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কাজে লাগানোর কথা, সেইভাবে তাদেরকে কাজে লাগানো হচ্ছে না। বাংলাদেশের যত ইতিবাচক অর্জন, বিজয় ও সংস্কার, আন্দোলন, সংগ্রাম ও সাফল্যের জয়যাত্রা-নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্র সমাজ, তরুণ ও যুবারা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী গণতান্ত্রিক আন্দোলন তারই প্রমাণ। দেশের অগ্রযাত্রায় সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি-যুব জনগোষ্ঠী। বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট দুর্যোগে সবার আগে সাহস নিয়ে ঝাপিয়ে পড়া যুবারা সামনের দিনেও দেশের প্রযুক্তিনির্ভর ও উদ্ভাবনী অগ্রযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন। বিশ্বায়নের যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষেত্রে দেশের যুব জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে মাঠ পর্যায়ে সরকারী উদ্যোগে কাজ করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। এই লক্ষ্য নিয়ে যুব জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় দক্ষতায় সুদক্ষ করে তোলা ও তাদের সম্ভাবনার বিকাশের মাধ্যমে যুবদের ক্ষমতায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। কিন্তু যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে পর্যাপ্ত জনবল ঘাটতি, অধিকাংশ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহেলা, যুব প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে কাজের ঘাটতি সহ বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ রয়েছে। প্রশিক্ষিত যুবসমাজের মাধ্যমে দক্ষ যুব জনশক্তি তৈরীতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বিকল্প নেই। যুব মন্ত্রণালয় আলাদা করা হলে প্রশিক্ষিত ব্যক্তির মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও বেকারত্ব  হ্রাস পাবে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের শূণ্যতা পূরণে ও যুব কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে যুব মন্ত্রণালয় স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়ে পরিণত করা খুবই প্রয়োজন। যুব মন্ত্রণালয়কে স্বতন্ত্র করা হলে আগামীতে বাংলাদেশের যুবদের বিকশিত করে জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে ব্যাপক অবদান রাখতে সক্ষম হবো বলে আমরা আশাবাদী।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *