হোটেল-রেস্টুরেন্ট সেক্টরের শ্রমিকদের অতিদ্রুত নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদান করুন

হোটেল সেক্টরে বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে মজুরি নির্ধারণ, নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদানের জন্য মালিক এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন।
১৬ অক্টোবর বিকেল ৪টায় সিলেটের ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে সংগঠনের জেলা সভাপতি মো. ছাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে ও শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি জয়নাল মিয়ার পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত, সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা মো. আনু মিয়া, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান আলী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক সুনু মিয়া, জেলা কমিটির অন্যতম নেতা আনোয়ার হোসেন,  বন্দর বাাজার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিন, চন্ডিপুল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলামসহ প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শ্রমিকদের স্বার্থে  ন্যায়সংগত ও আইনগত দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নে ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। হোটেল শ্রমিকদের শোষণ বঞ্চনা থেকে পরিত্রাণ এবং শ্রম আইন কার্যকর করার দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করলেও এখনো পর্যন্ত মালিকরা তা বাস্তবায়ন করছে না। শ্রম আইনে শ্রমিকদের কর্মরত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদানের বাধ্যবাধকতা থাকলেও শ্রম আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মালিকরা তা প্রদান করছেন না। শ্রমিকরা মালিকদের নিকট তা প্রদানের দাবি জানালে মালিকরা আইন বাস্তবায়ন না করে উল্টো শ্রমিকদের উপর বিভিন্ন রকম নির্যাতন-নিপীড়ন চালানোর দু:সাহস দেখাচ্ছেন। একাধিক প্রতিষ্ঠান মালিক কর্তৃক শ্রমিকদের হামলা-মামলার ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির বাজারে দেশের অন্যান্য সেক্টরের শ্রমিকদের মতোই হোটেল শ্রমিকরা এক নিদারুন কষ্টে দিনানিপাত করছেন। সাবেক আওয়ামী সরকার শ্রমিকদের সঠিক প্রতিনিধি না রেখে যথেচ্ছভাবে ২০১৭ সালে নি¤œতম মজুরি ঘোষণা করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি বৈকি ২০১৭ সালের পর জিনিসপত্রের দাম কয়েক গুন বাড়লেও শ্রমিকদের দাম বাড়েনি এক টাকাও। ৭১ পরবর্তী সকল সরকারের আমলেই হোটেল শ্রমিকরা শোষণ-নির্যাতন বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। একটি বৃহৎ শিল্প হওয়া সত্তে¡ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যথেষ্ট তদারকির অভাবে এ সেক্টরে কর্মরত লাখ লাখ শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে। শ্রমিকদের আইনি পাওনা বাস্তবায়ন ও যথাযথ শ্রমিক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে মজুরি বোর্ড গঠন করে বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণ মজুরি ঘোষণার দাবি জানিয়ে ১৩ নভেম্বর সকাল ১০ টায়, ক্বীণ ব্রীজের উত্তর পার (জালালাবাদ পার্কের সামনে) জমায়েত হয়ে শ্রমিকদের গণস্বাক্ষরসহ মাননীয় জেলা প্রশাসক সিলেট এর মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *