ছাত্র-শ্রমিক হত্যার দায় রাষ্ট্র ও সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারে না বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের শোক প্রকাশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মোস্তাক মিয়া (২৪) নামে একজন শ্রমিক। তিনি বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের শরিক সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি সিলেট সদর উপজেলা কমিটির অন্যতম নেতা ময়না মিয়ার ছোট ভাই। বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার এবং সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া নিহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, গত ২ আগস্ট নিহত মোস্তাক মিয়া জুতা ক্রয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথিমধ্যে সরকারদলীয় সংগঠন ছাত্রলীগের হামলা ও পুলিশের এলোপাতারি গুলিতে নিহত হন তিনি। পুলিশ এ মৃত্যুর দায় এড়িয়ে চলছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে ছাত্র-শ্রমিক-পেশাজীবী সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। আন্দোলনে দুইশতাধিক নিহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সরকার স্বৈরাচারী পন্থা অবলম্বন করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমন করতে গিয়ে নির্বিচারে ছাত্র-জনতা হত্যা করে চলেছে। গত ১৯ জুলাই সিলেটের বন্দর বাজার থেকে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ এর বেসিক  ইউনিয়ন সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য হোটেল শ্রমিক আবুল কালাম আজাদ জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথিমধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করে একাধিক মামলায় আসামি দেখানো হয়। নেতৃবৃন্দ নিহত ও আহত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করে এসকল ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ করে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি ও নিহতদের পরিবারকে আজীবন আয়ের সমপরিমান ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *