‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা : সামাজিক আন্দোলন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জনপ্রচারনা করছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। বাসা বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার, পানি জমা করে না রাখা ও তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সিসিকের স্বাস্থ্য শাখা। এর কারণে এডিশ মশার জন্ম হয়।
প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুর রহমান বলেন— অব্যবহৃত গাড়ির টায়ার, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত চৌবাচ্চা, পরিত্যাক্ত টিনের কৌটা, কাঁচ/প্লাস্টিকের বোতল/ক্যান, বিস্কুট বা চিপসের প্যাকেট, গাছের কোটর ভাঙ্গা হাড়ি ও ডাবের খোসা ইত্যাদিতে জমা পানির কারণে এডিশ মশার জন্ম হয়। ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত জ¦র যা এডিশ মশার কামড়ে সংক্রমিত হয়। প্রয়োজনে পরিমিত পরিমাণ কেরোসিন প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি অপসারণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন— বেজমেন্ট, কারপার্কিং, বালতি, ড্রাম গাছের টব, ফ্রিজ এবং এয়ার কন্ডিশনারের নিচে কোনভাবেই যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। যেখানে সেখানে বর্জ্য না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন ছড়া বা ড্রেনে ময়লা আবর্জনা ফেললেও এডিশ মশার জন্ম হয়ে থাকে তাই এ কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন। যদি ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে থাকলে নগরীর কুমারপাড়াস্থ ওসমান মিয়া মার্চেন্ট মা ও শিশু হাসতাপাল এবং নগর স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র সমূহে বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা করার অনুরোধ জানান তিনি।