বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে মজুরি নির্ধারণ ও ব্যক্তিমালিকানাধিন এবং স্বায়ত্বশাসিত প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের আসন্ন রমজান মাসে বিনা বেতনে ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। ১০ মার্চ বিকেল ৪ ঘটিকার সময় সিলেটের ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে জেলা সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকারের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ন সম্পাদক রমজান আলী পটুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুমিন রাজু, স’মিল শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি খোকন আহমদ, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ (শান্ত)।
সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আনছার আলী তার বক্তব্যে বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যে লাগামহীন উর্দ্ধগতির বাজারে যখন প্রয়োজন শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা তখন মালিকরা রমজানের পবিত্রতার নামে মালিকরা ব্যবসা মন্দার অজুহাত দেখিয়ে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে রেস্টুরেন্টের অধিকাংস শ্রমিকদের বিনা বেতনে ছাঁটাই করা হয়। যেসব শ্রমিকদের ডিউটিতে রাখা হয় তাদের দিয়ে কয়েকগুন বেশি পরিশ্রম করানো হলেও তাদেরকে দেওয়া হয়না অতিরিক্ত কাজের দ্বিগুন মজুরি। কর্মরত শ্রমিকদের নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র না থাকায় ঈদ পরবর্তী চাকরি পূর্ণবহালে থাকে অনিশ্চয়তা। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতিতে বাজারে যেখানে বিদ্যমান মজুরি দিয়ে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। সেখানে রমজানের অজুহাতে আরেক দফা ছাঁটাই-নির্যাতনের শিকার হয় শ্রমিকরা। ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধ, এক মাসের মজুরির সমপরিমাণ উৎসব বোনাস প্রদান করার জন্য মালিকদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া বলেন, সিলেটের তারাপুর চা-বাগান পরিচালনা পরিষদের অব্যবস্থাপনার কারণে প্রায় দেড় মাস ধরে চা-বাগান বন্ধ রয়েছে। চা-বাগান বন্ধ রাখলেও শ্রমিকদের দেওয়া হচ্ছেনা মজুরি। শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ, অবিলম্বে চা বোর্ডের অধিনে চা বাগান চালু এবং তারাপুর চা-বাগানকে কেন্দ্র করে হাউজিং করার যে অপতৎপরতা চলছে অনতিবিলম্বে তা বন্ধ করার প্রেক্ষিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের প্রতি আহবান জানান। এবং ব্যক্তিমালিকানাধিন প্রতিষ্ঠানে শ্রম-আইন বাস্তবায়ন, গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়ন ও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল-২০২৩ বাতিলের দাবি জানান।
বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে মজুরি নির্ধারণের দাবিতে ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সমাবেশ
কমেন্ট