কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক ব্যাটারী চালিত রিক্সাচালক ফয়েজ উদ্দিন (২০) হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার করেন পুলিশ। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মান্যবর পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ জাকির হোসেন খান, পিপিএম, মহোদয়ের নেতৃত্বে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সিলেট মহানগরীতে বসবাসকারী নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দিবারাত্রি কাজ করছে।
পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র,মাদক, চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা ও নিয়মিত মামলার আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
তবর কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-২৮, তারিখ-১৭/০১/২০২৪খ্রিঃ ধারা-৩০২/৩৭৯/৩৪ দন্ডবিধি ১৮৬০ এর রহস্য উদঘাটনে এবং হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার অভিযানে কোতোয়ালী মডেল থানার একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা পূর্বক এসএমপি’র শাহপরাণ (রহঃ) থানাধীন শাহজালাল উপশহর ও তেররতন এলাকা হতে আসামী ১। আল আমিন (৩২) পিতা- আবুল কালাম, মাতা- সরুফা বেগম, সাং-শ্যামপুর, থানা- মিঠামইন, জেলা- কিশোরগঞ্জ, বর্তমানে- শাহজালাল উপশহর, ব্লক-এইচ, রোড নং-৩, খলিল মিয়ার কলোনী, থানা- শাহপরাণ (রহঃ), এসএমপি, সিলেট, ২।
তোফাজ্জল মিয়া (৩০) পিতা- মাহফুজ আহমদ, মাতা- সখিনা বেগম, সাং- খাগালিয়া, থানা- নাসিরনগর, জেলা- ব্রাহ্মনবাড়িয়া, বর্তমানে- তেররতন, ডুমাই মিয়ার কলোনী, থানা-শাহপরাণ (রহঃ), এসএমপি, সিলেটদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানাধীন কসকনপুর এলাকা হতে আসামী ৩। মোঃ আব্দুল হামিদ (৩৬), পিতা- মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মাতা- মোছাঃ হাসনা বেগম, সাং-হাতিডহর, থানা-জকিগঞ্জ, জেলা-সিলেট, বর্তমানে- সৈয়দানীবাগ, জুবেল মিয়ার কলোনী, থানা-শাহপরাণ (রহঃ), এসএমপি, সিলেট’কে গ্রেফতার পূর্বক আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। উল্লেখিত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে পুলিশ হেফাজতে (রিমান্ড) এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আসামী ৪। মোঃ ফজর আলী (৫২) পিতা- মৃত আব্দুল খালেক, মাতা- মৃত আফিয়া খাতুন, সাং-কেজাউড়া, থানা- বিশ্বম্ভরপুর, জেলা- সুনামগঞ্জ, বর্তমানে- রাসোস-৩৫/২, রায়নগর, সোনারপাড়া, থানা- কোতোয়ালী, এসএমপি, সিলেট’কে গ্রেফতার করা হয় এবং উক্ত আসামীর হেফাজত হতে ভিকটিম মৃত ফয়েজ উদ্দিন (২০)’কে হত্যা করে নিয়ে যাওয়া ব্যাটারী চালিত রিক্সাটি আসামী ফজর আলীর বাসা হতে উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত চাকুটি ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী সুরমা নদী হতে উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও আসামী মোঃ আব্দুল হামিদ (৩৬) ও মোঃ ফজর আলী (৫২) উল্লেখিত মামলার ঘটনার বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।
অভিযান পরিচালনাকারী অফিসার ও ফোর্সবৃন্দঃ মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ)/শামীম উদ্দিন সহ কোতোয়ালী মডেল থানার একটি চৌকস টিম।