ইমরানের সঙ্গে বুশরার বিয়ে, যেসব তথ্য সামনে আনলেন সাবেক স্বামী

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:   পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান ২০১৮ সালে তার আধ্যাত্মিক নেতা (পীর) বুশরা বিবিকে বিয়ে করেন। ওই সময় তৎকালীন স্বামী খাওয়ার মানেকার সঙ্গে বুশরার বৈবাহিক জীবনের ২৮ বছর চলছিল। কিন্তু ইমরান খানের কারণে তাদের সেই সুখী দাম্পত্য জীবন শেষ হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন মানেকা। এ ছাড়া ইমরানের সঙ্গে বুশরার প্রথম দেখা থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় সামনে এনেছেন সাবেক স্বামী খাওয়ার মানেকা।

পাকিস্তানি টিভি চ্যানেল জিও নিউজের বিশেষ শো ‘আজ শাহজেব খানজাদা’য় সোমবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর অভিযোগ করেন খাওয়ার মানেকা।

তিনি বলেন, আমাদের বিবাহিত জীবন খুব সুন্দর ছিল, আমরা খুব খুশি ছিলাম, কিন্তু ইমরান খান তা নষ্ট করে দিয়েছেন।

মানেকা বলেন, ডিভোর্সের মাত্র দেড় মাস পর বুশরা ইমরান খানকে বিয়ে করেন (ওই সময় তিনি ইদ্দত পালন করছিলেন)। তিনি বা তার সন্তানরা কেউই এ বিষয়ে জানতেন না। এমনকি মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হলে প্রথমে তা তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।

খাওয়ার মানেকা জানিয়েছেন, ইমরান খান অনুমতি ছাড়াই তার বাড়িতে যেতেন এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেন। যদিও তিনি তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ পছন্দ করেননি।

একবারের ঘটনা স্মরণ করে বুশরা বিবির সাবেক স্বামী বলেন, ওই সময় তিনি তার বাড়ির কাজের লোকের সহায়তায় ইমরান খানকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন।

ইমরান ও বুশরার বৈঠকের বিষয়ে খাওয়ার মানেকা বলেন, ইসলামাবাদে (পাকিস্তানের রাজধানী) পিটিআইয়ের বিক্ষোভের সময় তাদের (ইমরান ও বুশরা) দেখা হয়েছিল। তার পর ধীরে ধীরে তারা একে অপরের সঙ্গে দেখা করা ও ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেছিল।

মানেকা আরও জানান, তার মা ইমরান খানকে পছন্দ করতেন না এবং তিনি প্রায়ই তাকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করতেন। মা বলতেন, ‘ইমরান খান মোটেও সুবিধাজনক মানুষ না, তাকে বাড়িতে আসতে দিবে না,’ বলেন মানেক।

তিনি জানান, ইমরান ও বুশরা প্রায়ই রাতে ফোনে গোপনে কথা বলতেন। তাছাড়া অনুমতি ছাড়াই ইমরানের সঙ্গে দেখা করতেন বুশরা। বিয়ের মাত্র ৬ মাস আগে বুশরা তার থেকে আলাদা হয়ে পাঞ্জাবের পাকপত্তন শহরে তাদের বাড়িতে চলে যান। বার বার ডাকা সত্ত্বেও বুশরা তার কাছে ফিরতে রাজি হননি।

বুশরার সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়ে খাওয়ার মানেকা বলেন, একদিন তার ফোনে একটি টেক্সট মেসেজ আসে, যাতে তাকে বুশরাকে তালাক দিতে বলা হয়। এর পর তিনি বুশরার কাছে গিয়ে তাকে বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কিন্তু বুশরা মাথা নিচু করে ছিলেন; তার (মানেকা) কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।

বুশরার সাবেক স্বামী জানান, পরে ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর ফারাহ গগির মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজপত্র পেয়েছিলেন তিনি।

ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ জুলফি বুখারি তাকে বিবাহ বিচ্ছেদের তারিখ পরিবর্তনের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে চুপচাপ থাকতে বলেছিলেন। কারণ ওই সময় ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। বিষয়টি প্রকাশ হলে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে প্রভাবিত করতে পারে, বিশদ সাক্ষাৎকারে জানান খাওয়া মানেকা।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *