গত শনিবার (৭ অক্টোবর) হামাসের আকস্মিক আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলি যুদ্ধ বিমান থেকে কয়েক দিন ধরে গাজায় বিভিন্ন ‘লক্ষ্যবস্তুতে’ বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, এখন পর্যন্ত হামাসের হামলায় ১২০০ জনের বেশি ইসরাইলি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অবশ্য কয়েকজন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ২ হাজার ৭০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। অনেককে জিম্মি করেছে হামাসের যোদ্ধারা।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে যে, তারা গাজায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে ‘বড় আকারের হামলা’ চালাচ্ছে। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত জানায়নি তারা।
হামাস-সমর্থিত মিডিয়া জানিয়েছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরাইলি বিমান গাজা শহরে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করছে। গাজার কর্তৃপক্ষ উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলার কথা জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনি মিডিয়া এর আগে জানিয়েছে, গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০০ এবং প্রায় ৫ হাজার ৬০০ আহত হয়েছেন।
অপরদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার শীর্ষ কূটনীতিককে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়েছেন। সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন ইসরাইলের প্রতি ওয়াশিংটনের স্থায়ী সমর্থনের বিষয়টি পুনর্নিশ্চিত করবেন। সেই সঙ্গে আমেরিকানসহ হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করা এবং ব্যাপক পরিসরে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে আলোচনা করবেন তিনি।
রয়টার্স জানিয়েছে, সফরের অংশ হিসেবে ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার জর্ডানে পৌঁছবেন। তবে তিনি ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরে যাবেন না। যদিও তিনি সাধারণত পশ্চিম তীরে গিয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে দেখা করেন।