জালাবাদের বড়গুলে অনৈতিক ব্যবসা বন্ধে পুলিশ কমিশনার বরাবরে আবেদন

সিলেটের জালালাবাদ থানা এলকার বড়গুলে জমজমাট দেহ ব্যবসা ও রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে শিবানী রায় নামে এক নারী। প্রভাবশালী একটি মহলের ছত্রছায়ায় এ ব্যবসায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ঐ নারী। ফলে এলাকার যুব সমাজ ও শাহজালাল ভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীরা নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী অন্ধকার জগতে পাড়ি জমাচ্ছে।
গতকাল বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন (এসএমপি) পুলিশ কমিশনার বরাবরে দেয়া অভিযোগে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, এসএমপির জালালাবাদ থানাধীন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩৭ নং ওয়ার্ডের বড়গুলের শিবানী রায়ের বাসা শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় এর শাহপরান ও বঙ্গবন্ধু হলের নিকটে। ফলে সন্ধ্যার পর শিবানীর বাসায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অনেক ছাত্রছাত্রী অনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত অবস্থান করে। এলাকাবাসী কয়েকবার এ সকল অসামাজিক কাজে বাঁধা দিলে তাদেরকে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে থাকে শিবানী। তাই ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না।
কতিপয় অসাধু পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে অপকর্মের এ আখড়া পরিচালনা করছে শিবানী। ফলে এলাকার উঠতি বয়েসী ছেলে-মেয়ে ও ছাত্র-ছাত্রী চারিত্রিক অধঃপতন সহ নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে।
শিবানী রায়ের এ অনৈতিক বাণিজ্যে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট থাকে আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগে আরো প্রকাশ, শিবানী রায়ের এহেন অপকর্ম ও অনৈতিক বাণিজ্যের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছেন এসএমপির জালালাবাদ থানাধীন ডলিয়ার সেলিম মিয়া, নয়া বাজারের শামীম হোসেন, কতোয়ালী থানাধীন নয়াসড়ক এলাকার ঠিকানা টাওয়ারের ডা. মৃগেন চৌধুরী ও তার ছেলেরা।
এলাকাবাসী শিবানী রায়ের অবৈধ বাণিজ্যের এ আস্তানা বন্ধে এসএমপি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্থক্ষেপ ও দ্রুততর পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
এসএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবরে দেয়া লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষর করেন- বড়গুল এলাকার বিজয় দাস, মিজানুর রহমান, হিমাংশু দাস, মুহিত দাস সহ কয়েকজন।
সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *