মধ্যনগরে আলমগীর হত্যার দুই আসামি রিমান্ডে

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:   সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের আলমগীর হত্যা মামলার আসামী লালচান ও জয়নালের ৭ দিনের রিমান্ড পুলিশ চাইলে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

পুলিশ সূত্রে জানায়, রুপনগর গ্রামের আলমগীর হত্যার রহস্য উদঘাটন সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে মধ্যনগর থানার পুলিশ।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা জনায় যে, আসামী লাল চান ও ভিকটিম আলমগীর এদের সম্পর্ক সৎ ভই হয়। ভিকটিমের সহিত তার সৎ ভাই আসামী লাল চানের সম্পত্তি নিয়া দির্ঘদিন ধরে বিরোধ থাকার কারনে ভিকটিমকে তার সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য, আসামী লাল চান সহ অন্যান্য আসামীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে খুন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়া রুপনগর গ্রাম থেকে অপহরন করিয়া লাশ গুম করার জন্য ভারতের অভ্যন্তরে নিয়া হত্যা করে। এই মর্মে আসামীরা ঘটনার দায় স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে ,এবং গ্রেফতার কৃত আসামী সুয়েল ও আব্দুল হক ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এই মর্মে পুলিশ আদালতে রিমান্ড চাইলে গ্রেফতার কৃত আসামী জয়নাল ও লালচানের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত । গত শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালের দিকে কিশোরগঞ্জ জেলার তারাইল উপজেলা ও বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়, আলমগীর হত্যা মামলার প্রধান আসামি উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের রূপনগর গ্রামের মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে সোয়েল মিয়া (৩৩) কে কিশোরগঞ্জের তারাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে আলমগীরের সৎ ভাই, শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হাসান ওরফে লাল চান (৩৬), তদন্ত প্রাপ্ত আসামি ইছামারী গ্রামের মোঃ ছায়েব আলীর ছেলে আব্দুল হক (৩২) এবং রূপনগর গ্রামের ছুন্নত আলীর ছেলে জয়নাল হক (৩৪) কে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে ইউনিয়নের বাকাতলা গ্রাম থেকে অপহরণ করে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে আলমগীরকে হত্যা করেছে ঐ আসামীরা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ আগস্ট নিহত আলমগীরের মা মোছা.মমতা বেগম(৫৫)বাদী হয়ে মধ্যনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন বিকাল সাড়ে তিনটায় আলমগীর তাহার নিজ বাড়ি হইতে বাহির হইয়া যাওয়ার ২ দিন পরেও ফিরে আসছে না দেখে তার ভাই মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়া ১৯ জুন মধ্যনগর থানায় এসে নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরির আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয় যার নং-৭৯৫। এছাড়াও খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে গত ২৫ জুন সকাল সাড়ে নয়টার সময় ভিকটিম মোঃ আলমগীর হোসেন এর মৃতদেহ মধ্যনগর থানাধীন বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের ১১৯০/৭ এস মেইন পিলার হইতে প্রায় ৩ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে রংডংগা নতুন গারো বস্তির জঙ্গলে মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায় । বিজিবি এর মাধ্যমে বিএসএফ ও ভারতীয় থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হইলে গত ২৭ জুন বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় থানা পুলিশ সন্ধ্যা ৬ টার সময় ভিকটিম আলমগীর হোসেন এর লাশ মধ্যনগর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। মধ্যনগর থানা পুলিশ মৃত: আলগীর হোসেন এর লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হক বলেন, আলমগীরকে সম্পত্তি নিয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে হত্যা করা হয়েছে। এদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছি আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *