মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে কী ভাবছেন হাথুরু?

স্পোর্টস ডেস্ক:  বিশ্বকাপের জন্য বাছাই করা ৩২ সদস্যের প্রাথমিক দল এরই মধ্যে ছোট হয়ে আসার কথা ছিল। নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের নামসহ দলের নাম প্রকাশ করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সে কারণেই মূলত অপেক্ষা।

গতকাল বিসিবির নির্বাচক প্যানেলের এক সদস্য বলছিলেন, ঠিক জানি না, বোর্ড কবে দল দিতে চাচ্ছে। তবে আমাদের দিক থেকে দল তৈরি।
এদিকে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ফিটনেস টেস্ট শেষ হয়েছে ক্রিকেটারদের। গত দুদিনে মিরপুরে জিম, রানিং আর ফুটবল নিয়ে নিজেদের মতো করেই সময় কাটিয়েছেন এশিয়া কাপের প্রাথমিক দলে থাকা ক্রিকেটাররা।

অন্যদিকে গতকাল একসঙ্গে তিন নির্বাচকই বিসিবিতে এসেছেন। বোঝাই যাচ্ছে, দল নিয়ে কিছুটা ব্যস্ত সময় যাচ্ছে তাদের। স্কিল ক্যাম্পের আগে ২০-২২ জনের একটি দল দিতে হবে নির্বাচকদের। ১২ আগস্টের মধ্যে এই দলকে আরও ছোট করে আনতে হবে। এশিয়া কাপের মূল দল জমা দিতে হবে ১২ আগস্টের মধ্যে।

বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, ২২ জনের দল দুই-এক দিনের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে। আর ১২ আগস্টের আগেই আশা করি (চূড়ান্ত দল) হয়ে যাবে।

দ্বিতীয় মেয়াদে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশে ফেরার পর মাহমুদউল্লাহ দলের বাইরে। গত মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে তাকে ‘বিশ্রাম’ দেওয়া হয়। পরের কয়েকটি সিরিজেও অভিজ্ঞ ব্যাটারকে আর দেখা যায়নি।

হাথুরুর ভাবনায় কেন নেই মাহমুদউল্লাহ

গত কয়েক মাসে ঘরোয়া ক্রিকেটেও মাহমুদউল্লাহ এমন কিছু করেননি, যেটা তার ফেরার দাবি জোরালো করবে। মাহমুদউল্লাহর বিপক্ষে যাচ্ছে তার স্লো ফিল্ডিংও। যেটা গত কয়েক সিরিজে বাংলাদেশ দলের সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে। এখানে সাত নম্বরে মাহমুদউল্লাহর সম্ভাব্য ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন কিংবা মোসাদ্দেক হোসেন ঢের এগিয়ে থাকছেন।

আর তিনি আগের মতো লোয়ার মিডল অর্ডারে গিয়েই ঝড় তুলতে পারেন না বলে মনে করা হচ্ছে। তুলনামূলক স্লো ফিল্ডার, গিয়েই স্লগ করতে পারছেন না।

সর্বশেষ আফগানিস্তান সিরিজে ছিলেন না— এসব মাহমুদউল্লাহর বিপক্ষে গেলেও তার সবচেয়ে ‘প্লাস পয়েন্ট’ হচ্ছে অভিজ্ঞতা।

সূত্র জানাচ্ছে, এ কারণেই এখনো মাহমুদউল্লাহকে একেবারে সমীকরণের বাইরে রাখতে চাইছেন না নির্বাচকরা। দল ঘোষণায় কিছুটা দেরি হওয়ার পেছনে এটিও একটি কারণ।

তবে নির্বাচকরা মনে করেন, হাথুরুর ভাবনায় মাহমুদউল্লাহ যদি না থেকেও থাকে, তা পুরোটাই ক্রিকেটীয় কারণে; এখানে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের বিষয় নেই। আরেক নির্বাচক তাই বলছিলেন, ‘কোনো কোচ যদি কাউকে বাদও দিতে চায়, তাতে ব্যক্তিগত বিষয় থাকে না। সবটাই ক্রিকেটীয়।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *