যেসব অবস্থায় ইতিকাফ ভেঙে দেওয়া ওয়াজিব, না ভাঙলে গুনাহ হবে

১. কাউকে পানিতে ডুবে যেতে দেখলে, যদি তাকে উদ্ধার করার মতো কেউ না থাকে।
২. কাউকে আগুনে পুড়ে যেতে দেখলে, যদি তাকে রক্ষা করার মতো কেউ না থাকে।
৩.খলিফাতুল মুসলিমিন সবাইকে জিহাদে যাওয়ার হুকুম করলে ।

৪. জানাজা উপস্থিত হলে যদি জানাজা পড়ানোর মতো কেউ না থাকে।
৫. আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া আবশ্যক হলে, যদি সাক্ষ্য না দেয় তা হলে হকদারের হক নষ্ট হয়ে যাবে।
৬. মসজিদ ভেঙে যেতে শুরু হলে, মসজিদ থেকে বের না হলে দেয়ালের নিচে চাপা পড়ার আশঙ্কা আছে।

৭. নিজে বেশি অসুস্থ হয়ে গেলে, ডাক্তার না দেখালে প্রাণনাশের আশঙ্কা আছে।

৮. নিজ পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, ডাক্তার দেখানোর মতো কেউ যদি না থাকে।
৯. ঘরের মালামাল চুরি বা লুণ্ঠিত হওয়ার আশঙ্কা হলে, যদি ইতিকাফকারী ঘরে উপস্থিত না হয়।

১০. সরকারি কর্মকর্তা ইতিকাফকারীকে গ্রেফতার করতে উপস্থিত হলে। এসব অবস্থায় ইতিকাফ ভেঙে দেবে এবং পরে তা কাজা করে নেবে। (ফাতাওয়া শামি-৩/৪৩৭-৪৩৯.ফাতাওয়া আলমগিরি-১/২১২)

যেসব অবস্থায় ইতিকাফ ভেঙে যাবে, তবে গুনাহ হবে না

১. কেউ অন্যায়ভাবে মসজিদ থেকে ইতিকাফকারীকে বের করে দিলে। তবে সঙ্গে সঙ্গে অন্য কোনো মসজিদে ঢুকে গেলে ইতিকাফ ভঙ্গ হবে না।
২. পেশাব-পায়খানার জন্য বের হওয়ার পর কোনো পাওনাদার তাকে আটক করে রাখলে । এ ক্ষেত্রে ইতিকাফকারী পাওনাদারসহ সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে ঢুকে গেলে ইতিকাফ ভঙ্গ হবে না।

৩. মসজিদে জামাত কায়েম করার মতো কোনো মুসল্লি না থাকায় ইতিকাফকারী মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলে।

(ফাতাওয়া শামি-৩/৪৩৮.ফাতাওয়া আলমগিরি-১/৩১২)

লেখক : মুফতি ও মুহাদ্দিস, শেখ জনূরুদ্দীন রহ দারুল কুরআন মাদ্রাসা চৌধুরীপাড়া, ঢাকা

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *