বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না :এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান

সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেছেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধু সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রক্তের বিনিময়ে আমরা যে বাংলা ভাষা অর্জন করেছি, সেখানেও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও ভূমিকা ছিলো অপরিহার্য। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে ধাপে ধাপে প্রতিকূলতা এসেছে। বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে বাংলাদেশ আজ বিশে^র বুকে মাথা উচুঁ করে দাড়িঁয়েছে। আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আজ শুক্রবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় শহিদ সুলেমান হলে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আহমেদ নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, কেমুসাসের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক লিপন ও কার্যনির্বাহী সদস্য জগলু চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপকমিটির সদস্য সচিব প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদযাপন উপকমিটির আহŸায়ক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী।
আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী শেষে সভাপতির বক্তব্যে আহমেদ নূর বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য বিষয়। বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশ হয় না। আমাদের শিশুদের বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কে জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে অবগত হতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জয়নাল আবেদীন জুয়েল এবং গীতা পাঠ করেন বিমান বিহারী বিশ্বাস। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ‘ক’ গ্রুপে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ বিষয়ে বিজয়ীরা হলেন যথাক্রমে অঙ্কিত যশ, সাদিয়াতুল গণি ও শেখ মালিহা মরিয়ম। ‘খ’ গ্রুপে ‘৭ই মার্চের ভাষণ’ বিষয়ে বিজয়ীরা হলেন যথাক্রমে মো. শাহরিয়ার চৌধুরী, সৌমিক দাস কর্ণ ও আফনানুল করিম চৌধুরী। বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন ইসরাহ আহমদ আনিকা, ফারহানা আক্তার, তালবিয়া জান্নাত মারওয়া, আফসিনা জান্নাত সাফা, দেবজ্যোতি চৌধুরী ও ফাহমিদা আফরোজ তানহা।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *