রসূলপুরের শতাধিক ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারা বন্ধের দাবি

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার রসূলপুর গ্রামের ভূমিহীন শতাধিক পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারা বন্ধ, ভূমিহীনদের স্থায়ী বন্দোবস্ত নিশ্চিত করার দাবিতে সিলেটের নাগরিক বৃন্দের উদ্যোগে শনিবার (১১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

নাগরিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম। বাসদ জেলা সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পালের সঞ্চালনায় নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম, সিপিবি সিলেট বিভাগীয় কমিটির সমন্বয়কারী এড.আনোয়ার হোসেন সুমন, ন্যাপ জেলা সভাপতি এম. এ. মতিন, বাসদ জেলা আহবায়ক আবু জাফর, উদীচী জেলা সভাপতি এনায়েত হাছান মানিক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ জেলা সভাপতি সিরাজ আহমেদ, গণতন্ত্রী পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক জুনেদুর রহমান চৌধুরী, সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতা নিরঞ্জন সরকার, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্য মোখলেছুর রহমান, ছাত্র ইউনিয়ন জেলা আহবায়ক মনীষা ওয়াহিদ, ছাত্র কাউন্সিলের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ শীল এবং রসূলপুর গ্রামের ভূমিহীন শতাধিক পরিবারে পক্ষে আওলাদ হোসেন।

নাগরিক সমাবেশে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির জেলা সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাছান, বাপা জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ জেলা সাধারণ সম্পাদক ডা. হরিধন দাস, যুব ইউনিয়ন জেলা সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দাস খোকন, গণতন্ত্রী পার্টির জেলা দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান খোকন, এনডিএফ নেতা রমজান আলী পটু, সাম্যবাদী আন্দোলনের সদস্য প্রণব সিংহ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা জাহেদ আহমদ প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার রসূলপুর গ্রামের শতাধিক ভূমিহীন ও সাধারণ কৃষক পরিবার প্রায় ৩০ বছর যাবৎ নিজ কায়িক শ্রমে বাড়ি ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখলরত অবস্থায় আছেন এবং বংশপরম্পরায় এই গ্রামে বসবাস করে আসছেন। ভূমিহীন পরিবার গুলো বারবার আবেদন করেও খাস ভূমির বন্দোবস্ত পায়নি। বরং বর্তমানে স্থানীয় যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান রোকন ও তার ভাই বদিউজ্জামান মিলন এই শতাধিক ভূমিহীন পরিবারকে  উচ্ছেদ করার পায়তারা শুরু করেন। নানাবিধ হামলা, মামলা হুমকিতে এই নিরক্ষর অসহায় মানুষরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

বক্তারা আরেও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী দেশের সকল নাগরিকের ভুমির অধিকার আছে, যারা ভূমিহীন তারা খাস জমিতে বসবাস করার অধিকার রাখে কিন্তু রসূলপুর গ্রামের শতাধিক ভূমিহীন ও সাধারণ কৃষক পরিবার প্রায় ৩০ বছর যাবৎ বসবাস করে আসলেও স্থানীয় প্রভাবশালী লোকদের যোগসাজশে ভূমিহীন নয় এমন কিছু লোক সরকারী প্রোপোজাল পায়। প্রতারক চক্র খাস জমি বন্দোবস্ত পেয়ে বিক্রির নাম করে গরীব ভূমিহীন মানুষদের কাছ থেকে নগদ অর্থ গ্রহণ করে। ভূমিহীনদের উচ্ছেদের চেষ্টা করা অমানবিক ও অগণতান্ত্রিক। বক্তারা অবিলম্বে রসূলপুর গ্রামের ভূমিহীনদের মধ্যে উক্ত ১৮ একর জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত করার দাবি জানান।

রসূলপুর গ্রামের ভূমিহীন শতাধিক পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারা বন্ধ, ভূমিহীনদের স্থায়ী বন্দোবস্ত নিশ্চিত করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন নাগরিক সমাবেশ থেকে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *