দক্ষিণ এশিয়ায় ভিসামুক্ত চলাচল জরুরি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক:: সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে ভিসামুক্ত চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। এতে সব পক্ষই লাভবান হবে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে রোববার আয়োজিত এক সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ কথা বলেন।

সেমিনারের বিষয় ছিল সেমিনারের বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশ-নেপাল বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপন: শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি ভাগাভাগির দৃষ্টিভঙ্গি’।

এ সময়ে বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্ক বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উঠে আসে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ফরেন সার্ভিস একাডেমির ডিরেক্টর মাশফি বিনতে শামস, ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি, ইনস্টিটিউট ফর ইন্টেগ্রেট ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের সভাপতি সোয়ামিম ওয়াগলে এবং বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন প্রমুখ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভিসামুক্ত চলাচল চাই। এটি সম্ভব হলে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে  নেপালের প্রেসিডেন্ট এ দেশে এসেছিলেন। সে সময় তিনি বাংলাদেশের সামাজিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেছিলেন। বাংলাদেশের সঙ্গে  নেপালের সম্পর্ক উন্নয়নে জোরও দিয়েছিলেন।

ড.  মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের সম্পর্কের পরবর্তী ৫০ বছর কেমন দেখতে চাই, সেটাই আলোচনা করতে হবে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পর্যটন এবং বাণিজ্য খাতে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য খুব বেশি নয়। দুই দেশের মধ্যে আরও বেশি বাণিজ্য হওয়া উচিত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দুই দেশ জ্বালানি সহযোগিতায় অনেক এগিয়েছে। নেপাল থেকে ৫০  মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা আনতে চাই। তবে সেটা দেরি হচ্ছে।

মাশফি বিনতে শামস বলেন, বাংলাদেশ-নেপালের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি-পিটিএ নিয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়া বাণিজ্য বাড়াতে শুল্ক বাধা চিহ্নিত করে সেটা দূর করতে হবে। দুই দেশের মধ্যে বিমান যোগাযোগ আরও বাড়ানো যেতে পারে।

তিনি বলেন, শুধু ঢাকা নয়, সৈয়দপুর থেকেও বিমান চলাচল হতে পারে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে জোর দেন তিনি।

নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ধীরে ধীরে বাড়ছে।  আঞ্চলিক ও বহুমুখী ফোরামেও দুই দেশ একযোগে কাজ করছে। জ্বালানি সহযোগিতার লক্ষ্যে উভয় দেশই যেন লাভবান হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, তিন হাজার নেপালি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়াশোনা করছে। আর নেপাল বাংলাদেশিদের অন্যতম গন্তব্য। ২৫ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক ২০২২ সালে নেপাল ভ্রমণ করেছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *