লক্ষ্মীপুরে সম্মেলনে হানিফ-স্বপনের সামনেই চেয়ার ছোড়াছুড়ি, আহত ১০

নিউজ ডেস্ক:: লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ২ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলির সামনেই এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলার আ স ম আবদুর রব সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু ও সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ মমিন পাটোয়ারীসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্মেলনের পতাকা উত্তোলনের পর অতিথিরা মঞ্চে উঠেন। এরপর মঞ্চের সামনে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তাওহিদুল ইসলাম সুমন ও শাহেদ আলী মনু পাটওয়ারীর নেতাকর্মীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।বেশ কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করে উত্তেজিতরা। পরে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সুমন চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং মনু পাটওয়ারী চর আলগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও কথা বলা যায়নি।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের সম্মেলনের কার্যক্রম চলছে।

তবে সম্মেলন স্থলে তাৎক্ষণিক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন মাইকে ঘোষণা দেন, যেসব প্রার্থীর সমর্থকরা হট্টগোল করেছে, তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, সম্মেলনে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহত হওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

দলীয় সূত্র জানায়, সভাপতি পদে ৭ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৭ জন প্রার্থী জীবন-বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ, আশরাফ আলী চৌধুরী সারু ও আবদুল ওয়াহেদ মুরাদের প্রচারণা-চলছে। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এম মেজবাহ উদ্দিন, আবু নাসের, মেজবাহ উদ্দিন হেলাল, আবদুজ্জাহের সাজু, তাওহিদুল ইসলাম সুমন, মাহবুবুর রহমান বাবু, জাকির হোসেন লিটন চৌধুরী আলোচনায় রয়েছেন।

সর্বশেষ ২০০৩ সালের ৩ অক্টোবর সম্মেলন হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ১৬ বছরে ১৩ বার এ শাখার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। জেলা ও উপজেলা নেতাদের মতবিরোধসহ নানা কারণে তা হয়নি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *