খাগড়াছড়ি’ ছাত্রকে নিপীড়ন,পলাতক শিক্ষক

নিউজ ডেস্ক:: খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় পৌরসভার দক্ষিণ গর্জনতলী ৩নং পৌর ওয়ার্ডে অবস্থিত হামিদিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক দ্বারা ১৪ বছরের এক ছাত্র বলাৎকারের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী ছাত্র জানায়, ওই মাদ্রাসায় সে এক বছর ধরে পড়াশোনা করছে। মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর থেকে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ হাবিবুল্লা বাহার তাকে দিয়ে হাত-পা টিপাতো, কিছু দিন আগে তাকে বলাৎকার করে। বলাৎকার কাজে বাধা দিলে তাকে নানা রকমের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিত।

সে জানায়, ভয়ভীতি দিয়ে নিয়মিতভাবে বলাৎকার করে আসছে। সর্বশেষ গত ১৪ আগস্ট পুনরায় বলাৎকার করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বিষয়টি তার মা ও মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোবারক হোসেনকে জানায়।

বলাৎকারের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মাদ্রাসার শিক্ষক হাবিবুল্লা বাহার পালিয়ে যান। মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক হাবিবুল্লা বাহার চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার হলুদিয়ার সৈনিকপাড়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। তিনি এক বছর ধরে ওই মাদ্রাসায় হাফেজ হিসেবে চাকরি করছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক হাবিবুল্লা বাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

ছেলেটির মা বলেন, ঘটনাটি জানার পর মাদ্রাসার কমিটির কাছে বিচার দিই। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। সাংবাদিক ও এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এলে তারা ধামাচাপা দিতে পারেনি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

দক্ষিণ গর্জনতলীর স্থানীয় বাসিন্দা এবং মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক ও দুঃখজনক। অভিযুক্ত শিক্ষকের কঠিন শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

হামিদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোবারক হোসেন বলেন, ছাত্র নিজে বলাৎকারের বিষয়টি আমাকে মঙ্গলবার জানিয়েছে। আমাকে জানানোর পর শিক্ষক হাবিবুল্লা বাহার টের পেয়ে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি কমিটির সবাইকে নিয়ে বৈঠকে বসবো এবং শিক্ষক হাবিবুল্লা বাহারকে কীভাবে আইনের আওতায় আনা যায় সে ব্যবস্থা করা হবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *