সরকার মনে করে আ.লীগ দেশের সবকিছুর মালিক-মোক্তার: অলি

নিউজ ডেস্ক:: লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন— দুর্নীতি, অন্যায়, অবিচার এবং নির্যাতন সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে প্রবেশ করেছে। সমাজ ধ্বংসের দাড়প্রান্তে উপনীত হয়েছে। সরকার নিজের কবর নিজেই খোদাই করেছে।

তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী, নিশিরাতের জনবিচ্ছিন্ন সরকার মনে করে আওয়ামী লীগ হল দেশের সবকিছুর মালিক-মোক্তার। তারা মনে কারে, তারা হলো এই দেশের সত্ত্বাধিকারী।

শনিবার সকালে রাজধানীর এফডিসি সংলগ্ন এলডিপির পার্টি অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অলি আহমদ বলেন, গত ১৩ বছর দেশে মানবাধিকার, ন্যায় বিচার, সুশাসন এবং জবাবদিহি নাই বললেই চলে। এর সুযোগ নিয়ে অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এবং কিছু সংখ্যক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারী একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, তারা সুপরিকল্পিতভাবে দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বর্তমানে কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রশ্নবিদ্ধের উর্ধ্বে নয়। অনেকেই বর্তমান সরকারের পূজারী হিসেবে কাজ করছে।

এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মাদক, অসমাজিক কার্যকলাপ নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এমনকি সর্বনিম্ন স্তরে খাজনা দিতে গেলেও ঘুষ দিতে হয়। সামগ্রিকভাবে সমাজ ধ্বংসের শেষ ধার প্রান্তে উপনিত হয়েছে।

কর্নেল অলি বলেন, সরকার ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি এবং বিভিন্ন দেশের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষার জন্য ঘুরছে। কয়েকমাস আগেও তুলনামূলকভাবে পার্শ্ববর্তী ভারতের অর্থনীতি আমাদের চেয়ে অনেক খারাপ ছিল। কিন্তু বর্তমানে তারা আমাদের চেয়ে এগিয়ে গেছে। অথচ কয়েক মাস পূর্বেও আমাদের অর্থনীতি ছিল সন্তোষজনক। দুঃখের বিষয় হল চাটুকার, দুর্নীতিবাজ, দায়বদ্ধহীনতা, বিনা ভোট, নিশিরাতের নির্বাচন, আত্মহংকার এবং আমিত্ববোধ আগামীতে এই সরকারের পতনের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

সরকার বর্তমান অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সবার সঙ্গে পরামর্শ করে, একটি নির্দলীয় সরকার গঠন করে নিরাপদে প্রস্থান করবেন বলে মনে করেন এলডিপি প্রেসিডেন্ট।

সংবাদ সম্মেলনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামুল বশির, অ্যাডভোকেট ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, অ্যাডভোকেট মাহমুদ মোর্শেদ, অ্যাডভোকেট খাইরুল কবির পাঠান, হামিদুর রহমান, যুগ্মমহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *