ইউক্রেন ছাড়ল আরও চার জাহাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: এবার খাদ্যশস্য এবং সূর্যমুখী তেল নিয়ে ইউক্রেন বন্দর ছাড়ল আরও চার জাহাজ। রোববার ইউক্রেনের ওডেসা ও চরনোমর্স্ক বন্দর থেকে জাহাজগুলো ছেড়ে গেছে।

ইউক্রেন সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ (ইউএসপিএ) বলছে, এক লাখ ৭০ হাজার টন খাদ্যশস্য ও তেল নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে রওয়ানা হয়েছে জাহাজগুলো।

একটি জাহাজে শস্য বোঝাই কাজ চলছে। শুক্রবার এর আগের চালানে আরও তিনটি জাহাজ ছাড়ে ইউক্রেন বন্দর থেকে। ১ আগস্ট ছাড়ে প্রথম জাহাজটি। এ নিয়ে মোট আটটি জাহাজ ছাড়ল ইউক্রেন বন্দর থেকে। বিবিসি

গ্লোরি নামের একটি জাহাজে রয়েছে ৬৬ হাজার টন, রিভা উইন্ডে ৪৪ হাজার টন, স্টার হেলেনাতে ৪৫ হাজার টন, যাচ্ছে চীনে। আর মুস্তাফি নেকাটি নামের মালবাহী জাহাজটি যাচ্ছে ইতালিতে।

ছয় হাজার টন সূর্যমুখী তেল নিয়ে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। সে থেকে এখন পর্যন্ত চলছে সংঘাত।

এদিকে যুদ্ধ সংঘাতের কারণে ইউক্রেনে লাখ লাখ টন শস্য আটকা পড়েছে। এসব শস্য ইউক্রেনের বাইরে যেতে না পারায় বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট এবং খাদ্যপণ্যের মূল্য অনেক বেড়ে গেছে।

তবে সম্প্রতি জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন থেকে শস্য নিয়ে জাহাজ চলাচলের বিষয়ে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এর ফলে চলতি মাসের শুরুতেই ইউক্রেন থেকে প্রথম শস্যবাহী একটি জাহাজ তুরস্কের বসফরাস প্রণালিতে পৌঁছায়।

গত ১ আগস্ট সকালে ‘রাজোনি’ নামের সিয়েরা লিওনের পতাকাবাহী জাহাজটি ওডেসা থেকে লেবাননের ত্রিপোলি বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়।

জাতিসংঘ ও তুরস্ক আলোচনার মাধ্যমে স্থির করেছে যে সাগরের একটি নিরাপদ করিডোর দিয়ে এই শস্যবাহী জাহাজ চলবে। প্রথম জাহাজে শস্য ছিল ২৭ হাজার টন।

ইস্তাম্বুল প্রণালিতে শস্যবাহী আরও দুই জাহাজ

তুরস্কের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেন থেকে দুটি শস্য বোঝাই জাহাজ আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

জাহাজ দুটি এখন ইস্তাম্বুল প্রণালির কৃষ্ণ সাগরের প্রবেশপথে ভিড়েছে। তুরস্ক জানিয়েছে, পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘নেভি স্টার’ শুক্রবার ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর থেকে আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশে প্রস্থান করার পর ইস্তাম্বুল প্রণালিতে থেমেছে।

জাহাজটি ৩৩ হাজার টন ভুট্টা বহন করছে। একই দিন মাল্টিজ পতাকাবাহী জাহাজ ‘রোজেন’ ইউক্রেনের চরনোমর্স্ক বন্দর থেকে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।

বর্তমানে এটিও ইস্তাম্বুলের উত্তরে নির্ধারিত স্থানে নোঙর করেছে। ১৩ হাজার টন ভুট্টা বহন করছে জাহাজটি। বৈশ্বিক খাদ্য সংকট কমাতে গত ২২ জুলাই তুরস্ক, রাশিয়া, ইউক্রেন এবং জাতিসংঘ শস্য রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষর করে।

সাম্প্রতিক শস্যের চালানগুলো এ চুক্তির অধীনেই হচ্ছে। এই চুক্তির জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বিশ্ব নেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে ইতোমধ্যে পুতিনের সাথে সাক্ষাৎও করেছেন তিনি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *