চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ: লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন সেই নারী

নিউজ ডেস্ক:: যাত্রীবেশে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী নাইট কোচে উঠে যাত্রীদের হাত-পা চোখ বেঁধে মারধর,সম্পদ লুট ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী।

বৃহস্পতিবার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছেন সেই নারী।

তিনি বলেন, ডাকাতি শুরুর আগে আমার পাশের খালি সিটে ডাকাতদের একজন বসতে চাইলে তাকে বসতে দিইনি। ডাকাতি শুরু করলে আমি তাদের বাধা দিয়েছিলাম। এ কারণে তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল পরিবহণের একটি বাসে ঢাকা যাচ্ছিলেন ওই নারী। তিনি বলেন, রাত ৮টায় আমি বাসে উঠি। রাত ১১টার পর ডাকাতরা যাত্রীবেশে সিরাজগঞ্জের তিনটি আলাদা জায়গা থেকে বাসে ওঠে।

তিনি বলেন, পরে আবার যখন আসে, তখন আমি তাকে বলি আপনি হেলপারকে ডেকে সিট নেন। পরে সে আর সেই সিটে বসেনি। কিছুক্ষণ পর তারা সিগারেট খেয়ে ধোঁয়া দেয় আমাদের গায়ে। এর ১০ মিনিট পরই শুরু করে ছিনতাই। বাসচালকের কাছে গিয়ে তিনজন তাকে জিম্মি করে। চালকের গলায় ছুরি চেপে ধরে সিট থেকে উঠতে বলে। তারা গাড়ি চালাবে বলে জানায়। এর পর তাকে তুলে বেঁধে ফেলে। আমার পাশে বসা হেলপারকে তুলে নেয়। এর পর আমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে আমার হাত-মুখ চোখ বেঁধে ধর্ষণ করে।

তিনি আরও বলেন, ছিনতাইকারীরা যার কাছে টাকা বেশি পাইছে তাকে কিছু বলেনি। সবার থেকে টাকা সব কিছু ছিনিয়ে নেয় তারা। এক মহিলা ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিল তার কাছে ৯ হাজার টাকা ছিল তাও নিয়ে নেয়।

এ রকম ঘটনার বিচার চাই আমি। আজ এক নারীর সঙ্গে ঘটবে আরেক দিন আরেক নারীর সঙ্গে ঘটবে। আমি ওদের ফাঁসি চাই। যাতে ওদের দেখে অন্যরা ভালো হয়ে যায় বলে তিনি জানান।

ওই নারী যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, সেই হাসপাতালের তত্বাবধায়ক জানান, ইতোমধ্যে ওই নারীর প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করে রিপোর্ট দিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।

মধুপুর থানাসূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় বাসের এক যাত্রী অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা করেছেন।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছেন, এই লোমহর্ষক ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *