পরীক্ষায় করে বাচ্চা দুটি,প্রসব এক :নর্থ ইস্ট মেডিকেলে ভাঙচুর

নিউজ ডেস্ক:: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল এলাকার নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছেন এক মহিলা রোগীর স্বজনরা। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, নর্থ ইস্ট হাসপাতাল থেকে তাদের বাচ্চা চুরি হয়েছে।

ভাঙচুরের খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানাপুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায় , দক্ষিণ সুরমার তেতলি এলাকার এক গর্ভবতী নারী অন্যত্র এক চিকিৎসকের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি করালে সেই পরীক্ষায় ওই নারীর গর্ভে ২টি সন্তান আছে বলে জানা যায়।

গত শনিবার (৩০ জুলাই) ওই নারীর প্রসব ব্যথা শুরু হলে স্বজনরা তাকে নর্থ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তড়িগড়ি করে ওই নারীর অপারেশন করে ফেলেন। অপারেশনের পর স্বজনদের জানানো হয়- একটি বাচ্চা প্রসব হয়েছে। এসময় আরেকটি বাচ্চার বিষয়ে রোগীর স্বজনরা কর্তব্যরতদের কাছে জানতে চান এবং আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট দেখান, কিন্তু কোনো ‘সদুত্তর’ পাননি। ওই দিনই বিষয়টি স্বজনরা হাসপতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে তাদের দুদিনের সময় দেওয়া হয়।

কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় রোগীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং বিকাল ৩টার দিকে নর্থ ইস্ট মেডিকেলে ভাঙচুর শুরু করেন। খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমার থানার একদল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগ- নর্থ ইস্ট থেকে তাদের একটি বাচ্চা চুরি হয়েছে এবং এর জন্য হাসপাতালের নার্স, চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষ দায়ী।

এ রিপোর্ট লেখা (বিকাল ৪টা) পর্যন্ত রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক চলছে। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন দক্ষিণ সুরমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার।

তিনি সাংবাদিকদের-কে বলেন, বিশৃঙ্খলার খবর পেয়েই আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। ওই রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করছেন, পরীক্ষায় দুটি বাচ্চা আছে জানা গেলেও প্রসবের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে একটি। হাসপাতাল থেকে তাদের বাচ্চা চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং কিছু গ্লাস ও জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন রোগীর স্বজনরা।

তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং দুপক্ষের মধ্যে বৈঠক চলছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *