৩-০ ম্যাচে সিরিজ জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছে ধাওয়ানের দল।
এমন সাফল্যের দিনেও আক্ষেপে পুড়তে পারেন শুবমান গিল। মাত্র ২ রানের জন্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন না তিনি। অথচ আউটও হননি। বৃষ্টি বাগড়ায় কপাল পুড়েছে গিলের।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯৮ বলে ৯৮ রানে পৌঁছে গিয়েছিলেন গিল। এইতো সুযোগ বুঝেই ২ রান নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পাবেন, ব্যাট উঁচিয়ে সেলিব্রেশন করবেন।
কিন্তু তার কিছুই হলো না। ঝুম বৃষ্টিতে ব্যাট হাতে মাঠ ছেড়ে গিলকে ঠাঁই নিতে হলো ড্রেসিংরুমে।
বৃষ্টির কারণে পরে আর মাঠেই নামা হয়নি গিলের। সেই ৯৮ রানেই অপরাজিত থেকে গেলেন। মাত্র ২ রানের জন্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ ম্যাচেই সেঞ্চুরির দেখা পেলেন না এ ভারতীয় ওপেনার।
ম্যাচে ধাওয়ানের সঙ্গে জুটি গড়ে ১১৩ রান তোলেন গিল। ধাওয়ান ৭ চারে ৫৮ রান করে আউট হন। এরপর গিল ও শ্রেয়াস আইয়ার মিলে দলীয় সংগ্রহকে টেনে নেন ১৯৯ রান পর্যন্ত। এই রানে শ্রেয়াস ফেরেন ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৪ করে।
৩৬তম ওভারে ৪ উইকেটে ২২৫ রান জমা করলে বৃষ্টি নামে। ৭ বাউন্ডারিও ২ ছক্কায় ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন সাঞ্জু স্যামসন।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৩৫ ওভারে ২৫২ রানের লক্ষ্য ধরে দেওয়া হয়। সেই লক্ষ্য তাড়ায় ভারতীয় বোলাদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ক্যাবিরীয়রা।
দ্বিতীয় ওভারে তিন বলের মধ্যে কাইল মেয়ার্স ও শামার ব্রুকসকে বিদায় করে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। দুইজনের কেউই খুলতে পারেননি রানের খাতা।
প্রথম পাওয়ার-প্লের শেষ ওভারে চ্যাহালের বলে এক ছক্কায় ২২ রান করে স্টাম্পড হন ওপেনার শাই হোপ।
মিডল অর্ডারে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দলকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন পুরান ও ব্র্যান্ডন কিং। কিন্তু পেরে ওঠেননি। ৩২ বলে ৪২ রান করেন অধিনায়ক পুরান। কিং ৩৭ বলে করেন ৪২ রান।
এর পর ধস নামে ক্যারিবীয় শিবিরে। শেষ ৬ ব্যাটারের মধ্যে মাত্র একজন যেতে পারেন দুই অঙ্কে। দশে নেমে হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র করেন ১০ রান। আর কেউই সুবিধা করতে না পারলে বড় হারে মাঠ ছাড়ে উইন্ডিজ। বল হাতে চ্যাহাল নেন ৪ উইকেট।