আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: ন্যাটো সদস্য দেশগুলো ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে বুধবার ফের বৈঠকে বসছেন। আর এর মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি অনুরোধ করেছেন, ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক মিসাইল এবং মিসাইল ব্যবস্থা যেন দেওয়া হয়।
ইউক্রেনের কাছে আছে সোভিয়েত যুগের দূরপাল্লার এস-৩০০ মিসাইল এবং স্বল্প পাল্লার বাক-এম১ সারফেস টু এয়ার মিসাইল।
রুশ সেনারা কামান ব্যবহার করে ইউক্রেনের সেনাদের ওপর আঘাত হানছে। তাছাড়া তারা সমুদ্র এবং আকাশ থেকেও মিসাইল ছুড়ছে।
বুধবার সকালেই মস্কোর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, লভিভে একটি অস্ত্রের গুদামে হামলা চালিয়েছে তারা।
রাশিয়ার এসব মিসাইলগুলো আকারে ছোট হতে পারে। এ কারণে এগুলো আটকানো বা ধ্বংস করা কঠিন। যদিও ইউক্রেনীয় সেনারা কিছু মিসাইল ধ্বংস করছে। কিন্তু এটি পরিস্কার তারা কুলিয়ে ওঠতে পারছে না।
পশ্চিমাদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র চাওয়া জেলেনস্কি বলেছেন, অস্ত্র পাঠাতে দেরি করার বিষয়টি ঠিক নয়।
কিন্তু জেলেনস্কি বার বার আহ্বান জানানোর পরও কেন ইউক্রেনে মিসাইল পাঠাতে পারছে না পশ্চিমা দেশগুলো?
এর অন্যতম একটি কারণ হলো এগুলো অত্যাধুনিক। এগুলো ডিজাইন করা হয়েছে অত্যাধুনিক ব্যবস্থাকে প্রতিহত করতে এবং ছুড়তে।
তাছাড়া পশ্চিমা মিসাইলগুলো মহামূল্যবান এবং কঠোরভাবে এগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। যদি যুদ্ধক্ষেত্রে এগুলো ভুল মানুষের হাতে পড়ে তাহলে তা নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠবে।
আরেকটি কারণ হলো এই মিসাইলগুলো অন্যন্য পশ্চিমা দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতেও মহাগুরুত্বপূর্ণ। তার মানে যেকোনো ভাবে তাদের আবার সেগুলো পূর্ণ করতে হবে।
তাছাড়া ইউক্রেনের সেনাদের এগুলো চালানোর জন্য প্রশিক্ষণও দিতে হবে।
সূত্র: বিবিসি