দুপুরে আটক করল পুলিশ, বিকালে পাওয়া গেল লাশ

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক :: সকালে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামীকে আটকের প্রায় ৪ ঘণ্টা পর হাসপাতালে লাশ পাওয়া গেল হিমাংশু বর্মণ (৪০) নামে এক ব্যক্তির। নিহত হিমাংশু লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব কাদমা মালদাপাড়া এলাকায় বিশেস্বর চন্দ্র বর্মণের ছেলে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মরদেহ হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় রয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে হাতীবান্ধা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

পরে থানা পুলিশ বিকাল ৪টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে বলে জানিয়েছেন কর্মরত চিকিৎসক।

এদিকে পুলিশি নির্যাতনে হিমাংশুর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে নিহতের স্বজনরা প্রাথমিকভাবে দাবি করেছেন।

জানা গেছে, শুক্রবার সকালের দিকে পুলিশ খবর পেয়ে হিমাংশুর শোবার ঘর থেকে তার স্ত্রী সবিতার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এরপর বেলা ১১টার দিকে হিমাংশুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে বিকাল ৪টার দিকে পুলিশের একটি দল হিমাংশুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হিরন্ময় বর্মণ সন্ধ্যায় বলেন, বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে পুলিশ হিমাংশুকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার গলায় একটি দাগ রয়েছে। এখন পর্যন্ত তার নাম-ঠিকানা আমাদের জানানো হয়নি।

ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন বলেন, সবিতার লাশ উদ্ধারের পর দুপুর ১২টার দিকে তার স্বামীকে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় শুনতে পেরেছি সে মারা গেছে।

সবিতার মৃত্যু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী হিমাংশুকে থানায় নিয়ে আসার কথা স্বীকার করে হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম  বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে হিমাংশুর কাছে কিছু তথ্য পাওয়া যায়।

এ অবস্থায় থানার নারী-শিশু হেল্প ডেস্কের কাছে তাকে রেখে অফিসাররা খেতে যান। এ সুযোগে সেখানে থাকা ওয়াইফাইয়ের তার গলায় পেঁচিয়ে জানালার গ্রিলে ঝুলে সেখানে আত্মহত্যা করে হিমাংশু।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *