প্রান্তিক কৃষকের ক্ষেতের ধান কেটে দিলেন আ.লীগ নেতা সুয়েব

কাল বৈশাখী ঝড় ও পাহাড়ী ঢলের আশংকায় এবং ধান কাটার শ্রমিক সংকটে কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়ে। ধান কাটার ভরা মৌসুমে মহামারি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় লকডাউন চলমান থাকায় দেশের অন্যান্য জেলা থেকে সুনামগঞ্জে শ্রমিক না আসায়, চড়া মূল্যেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছেনা। বৈরি আবহাওয়া ও পাহাড়ি ঢলের সম্ভাবনায় ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা।

এ পরিস্থিতিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সিলেট মদনমোহন কলেজের প্রভাষক ও ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ সুয়েবুর রহমান সুয়েব।

তিনি শিক্ষার্থী, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ ও অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ধান কাটার দল গঠন করে ৩ মে সোমবার সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার টগার হাওরের পার্শবর্তী পাইকরাটি ইউনিয়নের, বৌলাম গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মো. হারুন মিয়ার প্রায় দুই বিঘা জমির বোরো ধান কেটে বাড়ীতে পৌছে দেন।

ধান কাটা উৎসবকে প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর করতে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করেন গামছা, কাস্তে, নগদ টাকা, মাস্ক, জীবানুনাশক সাবান ও হেয়ার ক্যাপ এবং জনসচেতনার জন্য লিফলেট বিতরণ করেন।

ধান কাটার দলের সাথী হয়ে সহযোগিতা করেন সেলবরষ ইউপি যুবলীগের সভাপতি মো. দুলা মিয়া, শিক্ষার্থী সোহেল আহমেদ, মো. মাহিন আহমেদ, মামুন, মেহেদি, জুবায়ের, কৃষক লীগ নেতা মো. হারুন মিয়া, কমল মিয়া, কাঁচা মিয়া, চান মিয়া, সবুজ মিয়া, মো. মন্নান, মো. লাল মিয়া, সমাজ সেবক মো. পুলিশ মিয়া, ব্যবসায়ী-মো. রিদয় মিয়া, আওয়ামীলীগ কর্মী শরীফ আহমেদ, শ্রমিক লীগ নেতা মো. পাবেল মিয়া সহ এক ঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থী।

প্রভাষক মোহাম্মদ সুয়েবুর রহমান সুয়েব বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। তাঁর মেধা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দিয়ে দক্ষ নেতৃত্বে করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউ মোকাবেলা করেছেন। দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ও বিশ্বকে চার প্রস্তাবনা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুর সাহসীকন্যা শেখ হাসিনা। আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে গর্বিত এবং বিশ্ব-দরবারে এ ধরনের উদ্যোগ গুরুত্ব ও প্রশংসার দাবী রাখে। তাঁর মহাপ্রচেষ্টার সহযোগিতার অংশ হিসেবে ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে নিজস্ব উদ্যোগে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। কৃষক ধান উৎপাদন করে। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে নায্য মূল্যে ধান ক্রয় করার অনুরোধ জানান। মিল মালিকরা চাউল উৎপাদন করে, মিলারদের সুবিধা দেয়ার জন্য চাউল ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে-কৃষকরা পথে বসে যাচ্ছে এবং আহাজারি করছে। কিছু ব্যবসায়ীজীবি রাজনীতিবিদ ও অসৎ কর্মকর্তারা মিলারদের সুযোগ তৈরী করে কৃষকের ধান কম মূল্যে মিল মালিকদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। যার ফলে কৃষক ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছেন। হাওর এলাকায় উন্নতমানের চাউল কল তৈরী করে চাউল উৎপাদন করলে সরকার ও কৃষক লাভবান হবে। শিলা বৃষ্টি ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সহায়তা করা, উন্নতমানের কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা, নায্য মূল্যে ধান ক্রয় করা, অসৎ নেতা, কর্মকর্তা ও ফরিয়া-দালালদের প্রতিহত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানান।

জননেতা মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি ভাটি বাংলায় উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নয়নের রুপকার হিসেবে মানুষের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। হাওরকে শহরে পরিণত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এ জন্য হাওরবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আমরা হাওরবাসীর পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি এবং সংগঠনের ঐক্য মজবুত ও অনেক শক্তিশালী হয়েছে। তাঁকে সহযোগিতা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সুনাম বৃদ্ধি করার জন্য জনগণকে অনুরোধ জানান। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। প্রভাষক সুয়েব সরকারের পাশাপাশি সচ্ছল ব্যক্তিদের কৃষকদের পাশে থাকার জন্য এবং সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে চলাচলের জন্য সকলকে অনুরোধ জানান।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *