হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গে বন্যার পানি হঠাৎ করে কমে যাওয়ায় বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপের আনাগোনা চোখে পরার মতো

রিতেষ কুমার বৈষ্ণব – হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:: হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়ন এর যাত্রা পাশা গ্রামের পশ্চিম দিকে কুন্ডুর পাড় থেকে শিবপাশা রোড, কুন্ডুর পাড় থেকে জিংরী ব্রিজ পর্যন্ত, এবং পশ্চিম হাওরের বিভিন্ন পুকুরের পাড়ে এবং উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত পনেরো দিনে বিভিন্ন এলাকায় দুই থেকে তিন” শ”র ও বেশি সাপ মারা হয়েছে।

বানিয়াচং উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাওর, এবং ঝোপ ঝার সংলগ্ন বসত বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বললে–

তারা জানান– বন্যার পানি যখন বৃদ্ধি পেয়েছিল তখন ও সাপের আনাগোনা ছিল তবে এতটা চোখে পরেনি, হঠাৎ করে পানি অনেক টা কমে গেলে সাপ গুলো হাস মুরগীর বাচ্চা ধরার জন্য খুব জ্বালাতন করে, অনেক সময় খোলামেলা ভাবে ঘুরাফেরা করতে ও দেখা যায়। এটা নিয়ে শিশু বাচ্চারা আতংকে থাকে।

উপজেলার বিভিন্ন হাঁসের খামারী, জেলে এবং কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান এই বছরের মতো কোন বছর এত সাপ চোখে পরেনি।

৪ নং ইউনিয়ন এর শরীফ খানী গ্রামের তোফায়েল মিয়া, খেলু মিয়া, আলামিন মিয়া মাছ শিকার করতে গিয়ে শরীফখানী গভীর নলকূপ এর আশে পাশের এলাকা থেকে গত ১৫ দিনে ভয়ংকর আকৃতির ১১ টি বিষধর সাপ মারা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

যাত্রা পাশা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদির এবং ইউনুস মিয়া এই পর্যন্ত ২০-২৫ টি বিষধর সাপ মেরেছেন বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য তারা দুই জনেই পুকুর পাহারাদার এবং মাছ শিকারী।

১নং ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের চতুরঙ্গরায়ের পাড়ার কনু মিয়ার পুত্র মোঃ খালেদ মিয়া
পূর্বগড় ও কামালখানীর হাওর থেকে মাছ মারার তুপি( ফুলকুচি) দিয়া এই পর্যন্ত প্রায় ৬০টার মতো বিষধর সাপ মেরে এলাকায় এনে শত শত মানুষের সামনে মাঠির নিচে পুঁতে রেখেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

এই বিষয়ে সচেতন মহলের সাথে কথা বললে তারা জানান অন্য বছরের তুলনায় সাপের আনাগোনা অনেক টা বেশি, বন্যার পানি অতিরিক্ত বৃদ্ধি হওয়ায় এবং হঠাৎ করে অনেক টা কমে যাওয়ায় এলাকায় ঝোপঝাড় ও বৃদ্ধি পেয়েছে সাপের আতংক প্রতিটা পরিবারেই কিছুটা হলেও আছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *