পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দুটি এম্বুলেন্স চাইলেন কাউন্সিলর আজাদ

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক :: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে দুটি এম্বুলেন্স চেয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ। সিলেটে করোনা চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের জন্য এম্বুলেন্স দুটি চান আজাদ।

মঙ্গলবার দুপুরে করোনা থেকে মুক্ত হয়ে বাসায় ফেরার আগে হাসপাতালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

আজাদ বলেন, শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের কোন মা-বাবা ছিল না। অবহেলিত এই হাসপাতালটির কেউ কোন খোঁজখবর রাখতেন না। কিন্তু, করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিয়ে হাসপাতালটি তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিয়েছে। এখন এই হাসপাতালের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কিছু জিনিষ প্রয়োজন। তাই, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলাপ করে মঙ্গলবার সকালে এই হাসপাতালের জন্য দুটি এম্বুলেন্স চেয়েছেন আজাদুর রহমান আজাদ। তিনি আশা ব্যক্ত করেন শিগগিরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ব্যপারে ব্যবস্থা নেবেন।

আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, আমার ধারণা দেশের সকল করোনা হাসপাতালগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হচ্ছে সিলেটের শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে। এই হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্সরা সার্বক্ষণিক রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। আমি চিকিৎসাধীন থাকাকালীন প্রতিনিয়ত আমার খোঁজখবর রেখেছেন। তাদের এই সেবায়ই আমি সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছি। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

এছাড়া হাসপাতালের অধিক্ষক ও সিলেট ওসমানী মেডিকল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউনুছুর রহমান, শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুশান্ত কুমার মহাপাত্র এবং হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন আজাদ।

গত ২৪ মে নমুনা পরীক্ষায় কাউন্সিলর আজাদের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ২৭ মে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩০ মে তার পুনরায় নমুনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ২ মে দ্বিতীয়বার পরীক্ষায়ও রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় বুধবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বিকেল ৩টায় হাসপাতাল ত্যাগের সময় তাকে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান।

প্রসঙ্গত, সিসিকের টানা চারবারের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ করোনাকালে ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা ও চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করে সর্বমহলে প্রশংসিত হন। সেবা কার্যক্রমে তার সাথে অংশ নেন তার স্ত্রী যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টহ্যাম্পস্টেড’র কেমডেন কাউন্সিলর নাজমা রহমান। স্ত্রীকে সাথে নিয়ে করোনার শুরু থেকে মানুষের জন্য কাজ করছেন আজাদ। গভীর রাতে খাদ্যসহায়তা নিয়ে অসহায় মানুষের দরজায় ছুটে গেছেন তারা। তাদের মানবিত তৎপরতায় অসংখ্য খেটে খাওয়া মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার একদিন আগেও নিজের এলাকায় গরু জবাই করে দুস্থ মানুষদের মধ্যে বিতরণ করেছেন কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ। করোনার শুরু থেকে মানুষের পাশে থাকার কোনো এক সময় কারও মাধ্যমে তিনি সংক্রমিত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *