নিজস্ব প্রতিবেদক-সুমন ইসলাম:: মহামারী করোনা ভাইরাস আজ আমাদের স্বরণ করিয়ে দেয় ভূপেন হাজারিকার বিখ্যাত সেই গানের কথা-
মানুষ মানুষের জন্যে,
জীবন জীবনের জন্যে।
একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না?
ও বন্ধু….।
করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) এর বিস্তাররোধে সারাদেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। দীর্ঘকালীন সাধারণ ছুটি ও লোক সমাগম না থাকায় অনেক খেটে খাওয়া মানুষ হয়ে পড়েছেন বেকার। অনেকের ঘরেই দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিনযাপন করছেন বস্তি এলাকার মানুষ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।
এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে
বিপন্ন অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে সন্ধনী সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল ইউনিট।
বাংলাদেশের করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করে এখন পর্যন্ত তা অব্যাহত রয়েছে। এসব কার্যক্রমের মধ্য হচ্ছে, ডিরেক্টর, ডিডি, এডি, প্রিন্সিপাল, মেডিসিন, সার্জারি, গাইনী, কার্ডিওলজী, সাইকিয়াট্রি, ইমার্জেন্সী, ইন্টার্ন ও মিডলেভেল চিকিৎসক মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক প্রদান। ভিক্ষুক , কাজের বুয়া ও থ্যালাসেমিয়া প্যাশেন্টকে ও দিনমজুরদের খাবার প্রদান,বস্তিবাসী ও মধ্যবিত্ত পরিবারকে সাহায্য প্রদান। এ প্রসঙ্গে সন্ধানী সিলেট ইউনিটের সভাপতি লুৎফর রাহমান মিলন বলেন, করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে বাংলাদেশের সন্ধানী প্রতিটি জেলায় দরিদ্র অসহায় সামর্থ্যহীন মানুষদের সাহায্য করে আসছে এবং এখনো করছে ।এছাড়াও বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মী ডাক্তার নার্স ওয়ার্ড বয় সবাইকে মাস্ক ,হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পিপিই ,ফেস শীল ইত্যাদি ইকুপমেন্ট দিয়ে তাদের পাশে আছে।
তিনি আরো জানান, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ বর্তমানে ডাক্তারদের জন্য বাস সার্ভিস চালু করেছে এবং রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে টেলিমেডিসিন সেবা করেছে এছাড়াও বর্তমানে প্লাসমা থেরাপি শুরু করেছে কোন ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য। সন্ধানী বিশ্বাস করে মানুষের শক্তিতে, অতীতেও নানা সংকটময় পরিস্থিতে এদেশের মানুষ একজোট হয়েছে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে। অসহায়ের পাশে দাঁড়িয়ে বারে বারে প্রমাণ করেছে, “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই”।
সন্ধানী সিওমেক ইউনিটের এই সেবামূলক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে অংশগ্রহণ করতে পারেন আপনিও। দাঁড়াতে পারেন এদেশের খেটে খাওয়া আপামর জনসাধারণের পাশে। আপনার পাঠানো অর্থে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে যাবে অসহায় মানুষজনের কাছে।