জিন্দাবাজারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ত্রানের জন্য জনসমাগম,আতঙ্কে নগরবাসী

নিজেস্ব প্রতিবেদন :: করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঘরের বাইরে বেড়োনো এখন নিষেধ। কিন্তু ক্ষুধা- দারিদ্র্য কি এই নির্দেশ মানতে চায়? উপার্জনের পথ বন্ধ। কর্মহীন মানুষের চাই খাবার। ইতোমধ্যে খাবার সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন অনেক বিত্তবান কিংবা সমব্যথী সম্পন্ন মানুষ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যক্তি কিংবা সরকারি উদ্যোগেও চলছে ত্রাণ বিতরণ। কিন্তু এই বিতরণ কার্যক্রম বিশৃঙ্খলায় পূর্ণ।

গণজমায়েত করে দেয়া হচ্ছে ত্রাণ। সতর্কতার কোনো বালাই নেই। ত্রাণ সংগ্রহকারী সাধারণ মানুষও ভিড় জমাচ্ছেন গায়ে ঠেলে। নেই মাস্ক, বজায় রাখা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। এভাবে ত্রাণ দেয়াকে ভয়ঙ্কর বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে করে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে ত্রাণ না দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে।করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করলেও তা মানা হচ্ছে না।

নগরীর জিন্দাবাজার শ্যামলী মার্কেট এলাকায় দরিদ্র মানুষের মাজে সকাল থেকে ত্রান বিতরণ করবেন বলে আসস্ত করেছিলেন শ্যামলী মার্কেট এর সত্বাধীকারি জনাব মনসুর আহমেদ, বিতরণের সময় পেড়িয়ে গেলেও দেখা মিলেনি সেই ত্রানের, সময় যত গড়াচ্ছিলো লোক জামায়েত তত বেড়েই চলচিলো, সেই খেটে খাওয়া অসহায় মানুষদের লাইনে কোনো দূরত্বই মানা হয়নি। একজন আরেকজনের কাঁধের ওপর চেপে বসেছে । এই সময় ত্রান নিতে আসা অনেকই বলেন যে আমরা ঘরে খাবার নাই করোনা নায় ক্ষুধায় মরে যাবো, ১১ টা থেকে এখানে বসে আছি এখনো কারো দেখা পাই নাই, এখন ৩ টা বাজে। আপনারা ভিডিও করে ফেইবুকে দেইন, আমরা কিতা করতাম।এভাবে গণজমায়েত করে ত্রাণ বা সাহায্য বিতরণ এখন ভয়ংকর ব্যাপার হয়ে দাড়িঁয়েছে। বার বার প্রশাসন এর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এ রোগের আপাতত একটাই সমাধান- সেটা হচ্ছে, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা। এক জায়গায় পাঁচজনের বেশি জমায়েত হতে পারবে না। একজনের থেকে আরেকজনের কমপক্ষে তিন ফিট দুরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে। এমনকি লিফটেও এক সঙ্গে তিনজন উঠতে পারবে না।

তবে এইনিয়ে তাৎক্ষণিক মার্কেটে থাকা সিকিউরিটি সাথে কথাবলে জানা যায় ত্রান দেয়ার কথা চিলো ,আমি বাকি কিছু জানি না, পরবর্তীতে মার্কেট এর স্বত্বাধিকার জনাব মানসুর আহমেদ সাথে ব্যক্তিগত মোবাইলে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *