মাশরাফির ভূয়সী প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এখন পর্যন্ত গোটা বিশ্বে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে ১৮ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। আর ইতিমধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও হিংস্র থাবা বসিয়েছে করোনা। এ পর্যন্ত দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৬২১ জন। আর মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪। এ সংকটময় পরিস্থিতিতে ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন দেশের নিম্নআয়ের লোকজন। তবে অসহায় দুস্থদের সহায়তায় সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গোটা দেশে সহায়তা করা হচ্ছে। নিতান্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ত্রাণসামগ্রী। ভিডিও কনফারেন্সে দূরদূরান্তে প্রশাসক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা সারছেন তিনি।

রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের জেলাসমূহের সঙ্গে মতবিনিময় করেন শেখ হাসিনা। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার কথা শুনতে চান তিনি।

সদ্য বিদায়ী বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, আমি অনেক নবীন। এখানে অনেক সম্মানিত নেতা আছেন। করোনা মোকাবেলায় ইউনিয়নভিত্তিক কমিটি গঠন করেছি আমরা। তাতে ২২-২৩ জন করে প্রতিনিধি রয়েছেন। আশা করছি, প্রকৃত অর্থে যাদের ত্রাণ প্রয়োজন তারা পেয়ে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মাশরাফি বলেন, আপনি নড়াইলের এমপি ছিলেন, রয়েছেন এবং থাকবেন। এ এলাকার প্রতি আপনার সবসময় সুনজর ছিল, আছে এবং থাকবে। নড়াইল সদর হাসপাতালের উন্নয়নে আপনার দফতর থেকে চিঠি এসেছে। এটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হবে। তবে জেলাপর্যায়ে যদি আইসিইউ বেড করার সিদ্ধান্ত নেন, তা হলে করোনাকে আমরা সফলভাবে প্রতিহত করতে পারব।

এ সময় নিজ নির্বাচনী এলাকায় ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণ নিয়ে মাশরাফি বলেন, আমরা এখানে ৯০০ কেজি করে চাল পাচ্ছিলাম। কিন্তু সেটি কমিয়ে ৩০০ কেজি করা হয়েছে। এটি টেকটিক্যাল সিদ্ধান্ত হতে পারে। কিন্তু আমাদের এখানে অনেক গরিব জনগণ রয়েছেন। জনসংখ্যা ও দারিদ্র্যতার বিচারে এ বরাদ্দ বাড়ালে আমরা উপকৃত হব।

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এ মুহূর্তে টিআর-কাবিখা থেকে শুরু করে সবকিছু একই সময়ে চলে যাচ্ছে। এটি যাতে একসঙ্গে না যায়, এ ছাড়া সামনে রোজা, তাই আমরা একটু সময় নিয়ে দিচ্ছি। কেটে দেয়া হবে না, পুরোটাই পাঠানো হবে। তবে রোজাকে কেন্দ্রে করে ভাগে ভাগে দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য শুনে ম্যাশ বলেন, আপনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। সবশেষে সরকারপ্রধান বলেন, নড়াইলে তুমি (মাশরাফি) ভালো কাজ করছ, মুক্তিও (কবিরুল হক মুক্তি, জেলার অপর সংসদ সদস্য) দারুণ করছে। তোমরা সবাই মিলে ভালো কাজ করো, সুস্থ থাকো।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *