অর্থনীতি ডেস্ক:: তারল্য সংকট কাটাতে পুঁজিবাজারের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিটি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা করে বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে। এই তহবিলের অর্থ নিজে বিনিয়োগের পাশাপাশি সহযোগী বা সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে পারবে।
গতকাল সোমবার বিশেষ তহবিল গঠনের অনুমোদনের পর আজ মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হলে ব্যাপক উত্থান ঘটে। শেয়ার কেনার চাপে মূল্যসূচকে ব্যাপক উত্থান হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বেলা ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ৮৭ পয়েন্ট উত্থান ঘটে। লেনদেনের পরিমাণও আড়াই কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
শেয়ারবাজারে স্টেকহোল্ডারদের একটি অংশের দাবির প্রেক্ষিতে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিশেষ তহবিল গঠনে সুযোগ দেয়। নিজস্ব উৎস অথবা ট্রেজারি বিল বন্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৫ শতাংশ সুদে এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে ব্যাংকগুলো, যা পরিশোধের সময় পাবে পাঁচ বছর। আর ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে এ তহবিল থেকে ঋণ দিতে পারবে।
মূলত আস্থাহীনতার কারণে বড় দরপতনের পথে এগোচ্ছিল পুঁজিবাজার। পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির পরিমাণ বেশি হয়। আর বিক্রির চাপ বেশি থাকায় সূচক কমতে তাকে। পাঁচ দিন ধরে টানা পতনের মুখে পড়ে পুঁজিবাজার। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে বিশেষ তহবিল গঠনের অনুমোদনের দিনই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমার সঙ্গে লেনদেনও কমে। ডিএসইতে লেনদেন হয় ৩৪০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা আর সূচক কমে ৩ পয়েন্ট। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৬১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা আর সূচক কমেছিল ৬৪ পয়েন্ট।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, লেনদেন শুরুর পর শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ে। এতে দিনের সূচক কমতে থাকে। বেলা বাড়লে সূচকের পতনের মাত্রাও ত্বরান্বিত হয়। এতে দিনের সূচক কমার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৮৫ পয়েন্ট। ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ০.৮৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৯১ পয়েন্ট ও ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া ৩৫৩ কম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ১৬৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩ কম্পানির শেয়ারের দাম।
অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা আর সূচক কমেছে প্রায় ১৬ পয়েন্ট। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা আর সূচক কমেছিল ৮১ পয়েন্ট। গতকাল লেনদেন হওয়া ২৪০ কম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৭টির, দাম কমেছে ১৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫ কম্পানির শেয়ারের দাম।