কলকাতায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: এবার পার্শ্ববর্তী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় শনাক্ত হলো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। কলকাতার দক্ষিণ শহরতলীর মুকুন্দপুরের আরএনটেগোর হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে পাওয়া গেছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের উপস্থিতি।

পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর হাসপাতালে উপস্থিত অন্যান্য রোগীর পরিবারের লোকজনও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই হাসপাতাল থেকে রোগীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন।

হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ওই বৃদ্ধের বাড়ি যাদবপুরের পোদ্দার নগর এলাকায়। ফুসফুসের সংক্রমণ ছাড়াও একাধিক রোগে ভুগছেন তিনি। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই ব্যক্তি। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এমন খবরে তার বাড়ির এলাকা যাদবপুরেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে ক্রমশ বাড়তে থাকা আতঙ্ক ঠেকাতে এগিয়ে এসেছে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আরএনটেগোর হাসপাতালের পক্ষ থেকে অযথা আতঙ্কিত না হতে বলা হয়েছে। বলা হচ্ছে, এর সাথে চীনের উহান শহরের করোনাভাইরাসের কোনো সম্পর্কই নেই। এইচসিওভি-২২৯ই, এইচসিওভিএনএল৬৩ অথবা এইচসিওভি এইচকেইউ১ শ্রেণির করোনাভাইরাস অত্যন্ত সাধারণ। এমনই এক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ওই ব্যক্তি।

ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. অরিন্দম বিশ্বাস জানান, অনেকে ভাবছেন করোনাভাইরাস মানেই চীনের নভেল করোনাভাইরাস। তা ঠিক নয়। এই করোনাভাইরাসের সঙ্গে নভেল করোনা ভাইরাসের কোনো সম্পর্ক নেই। নোভেল করোনাভাইরাস এনসিওভি২০১৯ শ্রেণির। দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন।

তবে কেন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন ওই বৃদ্ধ, এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. বিশ্বাস জানান, ওই বৃদ্ধ কিডনির অসুখে আক্রান্ত। বার্ধক্যজনিত সমস্যাও রয়েছে তার। এমন অবস্থায় সাধারণ ভাইরাসকে ঠেকানোর মতো প্রতিরোধ শক্তি তার নেই।

এ কারণেই সাধারণ করোনাভাইরাসের সঙ্গেই পেরে উঠছেন ওই বৃদ্ধ। এই করোনাভাইরাসকে আর পাঁচটা ভাইরাল অসুখের মতোই বলছেন চিকিৎসকরা।

ডা. বিশ্বাস জানান, ফুসফুসের সংক্রমণ এক ধরনের করোনাভাইরাসের আক্রমণেই হয়। ভাইরাল জ্বরেরও কোনো ওষুধ হয় না। কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। এক্ষেত্রেও তাই। বাতাসে এমন সাধারণ করোনাভাইরাসের জীবাণু ভাসছে। তা ঠেকাতে মাস্ক পড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *