দেশের নাগরিক হিসেবেও আমি লজ্জিত: গোলাম আরিফ টিপু

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক
রাজাকারের তালিকায় নাম আসায় বিস্মিত ও হতবাক হয়েছেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু।

তিনি বলেন,এ ঘটনায় দেশের নাগরিক হিসেবেও আমি লজ্জিত। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলনে যার ভূমিকা ছিল তাকে কারা কেন এই তালিকায় এনেছে, এর তদন্ত হওয়া উচিত।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি পর্যালোচনা করেগত রোববারপ্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেমুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এতে রাজশাহী বিভাগের ৮৯ নম্বর তালিকায় (ক্রমিক নম্বর ৬০৬) আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুসহ ৫ জনের নাম রয়েছে।

এই পাঁচজন এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট মহসিন আলীর নামও রয়েছে তালিকায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের পরিবারের ৫ সদস্য নিহত হন। ওই সময় আবদুস সালাম ভারতে অবস্থান করছিলেন। অথচ তার নামটিও রয়েছে রাজাকারের তালিকায়। এছাড়া তালিকায় আছে রাজশাহীর তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবদুর রউফ ও পুলিশ কর্মকর্তা এসএস আবু তালেব।

রাজাকারের তালিকায় এসব ব্যক্তির নাম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের পরিবারের সদস্য আরিফুল হক কুমার।

তিনি বলেন, এই তালিকায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যারা ছিলেন, তাদের নাম এসেছে। এমনকি যারা পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকারদের হাতে নিহত হয়েছেন, তাদের নামও এসেছে। আবার যারা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন, তাদের নাম রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, যিনি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর, তার নামও আছে এতে। বিষয়টি বড়ই বেদনাদায়ক। আমরা কোনোভাবেই এটি মানতে পারছি না।

মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ওয়ালিউর রহমান বাবু বলেন, তালিকায় রাজশাহীর অন্যতম রাজাকার তৎকালীন জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট আফাজ উদ্দিন, শান্তি কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিন এবং ওয়াহেদ আলী মোল্লার নাম নেই। অথচ এই তিনজনই রাজশাহীর রাজাকারদের শীর্ষস্থানীয়। তাদের নাম এ তালিকায় না থাকা খুবই দুঃখজনক। অন্যদিকে যারা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, তাদের নাম তালিকায় আসাটা চরম লজ্জার।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *