গণমাধ্যম ও তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক আলোচনা, তারুণ্যের হাত ধরেই বিশ্ব দরবারে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: ডা. শিপলু

স্টাফ রিপোটার
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ও জালালাবাদ রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. আরমান আহমদ শিপলু বলেছেন, তারুণ্যের হাত ধরেই বিশ্ব দরবারে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ, আজকের বাংলাদেশ যে অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তার বেশিরভাগ কৃতিত্বের দাবীদার বাংলার তরুণ সমাজের। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে, তিনি আমাদের তরুণ সমাজের সাথে আছেন। এবং তার সুযোগ্য দুই সন্তান সজিব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, আমাদের তরুণ সমাজের জন্য আলোর প্রদীপ হিসেবে কাজ করছেন। তিনি গতকাল বুধবার ১৩ নভেম্বর দূপুরে নগরীর একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টের হলরুমে, বৃহত্তর সিলেটের কন্ঠস্বর, দৈনিক সুদিন এর আয়োজনে, গণমাধ্যম ও তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক সবুজ সিলেটের নির্বাহী সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী, দৈনিক শুভ প্রতিদিনের বার্তা সম্পাদক ছামির মাহমুদ, দৈনিক বিজয়ের কন্ঠের বার্তা সম্পাদক দেবব্রত রায় দিপন, দৈনিক জালালাবাদ এর সিনিয়র রিপোটার মুহিবুর রহমান। দৈনিক সুদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ বাদশা গাজীর সভাপতিত্বে ও দৈনিক সুদিনের নির্বাহী সম্পাদক মোহাম্মদ আঙ্গুর মিয়ার পরিচালনায় সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন, দৈনিক সুদিনের স্টাফ রিপোটার মোশারফ হোসেন অমিত, স্বাগত বক্তব্য রাখেন, দৈনিক সুদিনের সাহিত্য সম্পাদক ছড়াশিল্পী ইমন শাহ, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, দৈনিক শুভ প্রতিদিনের স্টাফ রিপোটার মবরুর আহমদ সাজু, দৈনিক সুদিনের সহ সম্পাদক ফাতেমা সুলতানা অন্যা, সজল দেবনাথ, রীটা আক্তার, দৈনিক সবুজ সিলেটের রাধে মল্লিক তপন, বাংলা ভিশনের টিটু তালুকদার, জয় যাত্রা টিভির ফয়ছল আহমদ, দৈনিক বিজয়ের কন্ঠের সমর আহমদ, মিসবাহ জাকিল প্রমুখ।
প্রধান অতিথি ডা. আরমান আগমদ শিপলু আরোও বলেন, তরুণদের নিয়ে আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নাই। আমাদের তরুণ সমাজ এখন বিশ^ নেতুত্বে আছে। এখন সময় আমাদের সাংবাদিক সমাজের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। বিশেষ করে আগামীদিনের গণমাধমে তরুণ সাংবাদিক সমাজকে নেতৃত্বে দিতে হলে বিভাজন দূর করতে হবে। বিভাজন থাকলে লক্ষে যেতে বিলম্ব হয়। যারা বাংলাদেশের খেয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করে তাদের প্রতিহত করতে গণমাধ্যমের কর্মীদের অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে।
বিশেষ অতিথি দিপু সিদ্দিকী বলেন, আমি মনে করি আজকের তরুণ সমাজ ঘুমিয়ে পড়েছে। তার অনেক কারণ আছে। আগে তরুণ সমাজকে ঘুম থেকে জেগে উঠতে হবে। গণমাধ্যমে কাজ করতে হলে, বা তরুণ সমাজকে বা আগামীর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে হলে এভাবে ঘুমালে হবে না। আর প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে। বই পড়তে হবে। বই না পড়লে তরুণ সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না।

বিশেষ অতিথি ছামির মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকতা বা যারা গণমাধ্যমে কাজ করেন তাদের মনে রাখতে হবে এটি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। নতুন তরুণ গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে, আগামীদিনের প্রতিনিধি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নাই। আমি এটা বিশ^াস করি আজকের তরুণদের হাত ধরেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
বিশেষ অতিথি দেবব্রত রায় দিপন বলেন, গণমাধ্যমে গণ মানুষের চিত্র ফুটে উঠে। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা এগিয়ে যাবে তারুণ্যের হাত ধরেই। সাংবাদিদের মান সম্মান কিন্তু আগের মতো নাই। তা পুনারুদ্ধার করতে আজকের তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকের তরুণ গণমাধ্যম কর্মীদের অনেক দায়িত্ব কর্তব্য আছে ভবিষ্যত বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।

বিশেষ অতিথি মুহিবুর রহমান বলেন, তারুণ্যের জয়গান সর্বত্র সর্বকালে ছিলো। আজকের গণমাধ্যম কর্মীদের সাহসী হতে হবে। অন্যায় অবিচারের আর ঘুষ দৃনীতির বিরুদ্ধে সোচ্ছার থাকতে হবে। আর আগামীদিনের গণমাধ্যম কর্মীদের গড়ে তোলার জন্য পিআইবির এগিয়ে আসা উচিত। সাংবাদিক সমাজের সুবিধা অসুবিধার প্রতি নজর রাখতে হবে প্রেস কাউন্সিলের মত প্রতিষ্ঠানের।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *