সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক
এমন নৃশংসতা কল্পনাকেও হার মানায়। রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দের নিয়ে ঘুমন্ত সন্তানকে কোলে রেখেই ছুরির নিচে দেন পিতা। এমন বিভৎসতা অবাক করেছে মানুষকে।সুনামগঞ্জে দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে শিশু তুহিন খুনের নৃশংস ঘটনায় তার বাবা, তিন চাচা ও চাচাতো ভাই জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে আলোচিত এই খুনের ঘটনা সম্পর্কে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে সুনামগঞ্জের পুলিশ মো. মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ঠান্ডা মাথায় বাবা-চাচারা মিলে খুন করে ৫ বছর বয়সী শিশু তুহিনকে। ঘুমন্ত শিশুটিকে বাবা আব্দুল বাছির কোলে করে বাড়ির বাইরে নিয়ে যান। বাবার কোলেই ঘুমন্ত অবস্থায় শিশু তুহিনকে ছুরি দিয়ে জবাই করে চাচা নাসির উদ্দিন।
তিনি আরো জানান, এ সময় নাছিরকে সহযোগিতা করেছিল শিশু তুহিনের চাচা মছব্বির, জমসের ও চাচাতো ভাই শাহরিয়া। পরে তার পেটে প্রতিপক্ষের নাম খোদাই করা দুটি ছুরি ঢুকিয়ে দেন শিশু তুহিনের পেটে।
এর আগে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারা জবাবন্দিতে খুনের ঘটনায় সম্পৃক্তার কথা স্বীকার করেছে শিশু তুহিনের চাচা নাসির উদ্দিন ও চাচতো ভাই শাহরিয়া।
ঘটনায় জড়িত বাবা আব্দুল বাছির, চাচা মছব্বির আলী ও জমসের আলীকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।