সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার চালক ও সহকারীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়াসহ সাত দফা দাবিতে সিলেট বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
এ কারণে সিলেট বিভাগের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী।
সিলেট সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে সোমবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়; চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
জানা যায়, বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঘোরী মো. ওয়াসিম আব্বাস নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার চালক ও সহকারীকে হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়াসহ সাত দফা দাবিতে সিলেট বিভাগে সকালে এ ধর্মঘট শুরু হয়।
ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে হবিগঞ্জ-সিলেটসহ জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ ছাড়া সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে না যাওয়ায় আটকে পড়েছেন শতশত যাত্রী।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট বিভাগীয় সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক জানান, দুর্ঘটনার কারণে বাসচালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে শ্রমিকদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু মামলার এজাহারে ৩০২ ধারা যুক্ত করা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করেছি। ওই ধারা বাতিল, পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ সাত দাবিতে আমাদের ধর্মঘট চলবে।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার ধারা ৩০২-এর স্থলে ৩০৪ করাসহ সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর ১০৫ ধারায় জরিমানা পাঁচ লাখ টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার করা, এক জেলার গাড়ি অন্য জেলায় রিকুইজিশন না করা এবং সড়ক মহাসড়কে চেকিংয়ের নামে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে পুলিশি হয়রানি, কথায় কথায় পুলিশ কর্তৃক রঙ পার্কিংয়ের নামে হয়রানি, রেকারিংয়ের নামে পুলিশের চাঁদাবাজি ও সেতুতে টোল আদায় বন্ধ করা।
উল্লেখ্য, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের চতুর্থ বষের ছাত্র ওয়াসিমকে গত ২৩ মার্চ মৌলভীবাজারের শেরপুর এলাকায় বাসচাপায় হত্যা করা হয়।
ওয়াসিম হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার রুদ্র গ্রামের মো. আবু জাহেদ মাহবুব ও ডা. মীনা পারভিনের একমাত্র ছেলে।
পরে গত ২৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুণ্ডু বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় উদার পরিবহনের চালক জুয়েল, হেলপার মাসুক ও সুপারভাইজার সেফুল মিয়াকে হত্যা মামলার আসামি করে মামলা করেন। চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করা হয়।