সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক :: ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার সাথে জড়িত সকলের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিসহ সারাদেশের বিভিন্ন জায়গাতে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের প্রতিবাদে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বিতর্ক বিষয়ক সংগঠন শাহজালাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির (এসইউডিএস) আয়োজনে শাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ফারজানা সিদ্দিকাসহ এসইউডিএসের উপদেষ্টা পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন এবং শাবির সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশের সঞ্চালনা করেন এসইউডিএসের সভাপতি মাসফিক আহসান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শুধু নুসরাতের ঘটনা নয়, সারা পৃথিবী এখন মানবিক বিপর্যয়ের মাধ্যমে যাচ্ছে। যা কিছু বলি না কেন? এটা একটা মানবিক বিপর্যয়। আজ চার সন্তানের জননী থেকে শিশু সন্তান কেউ নিরাপদ নয়। আমরা চাই নিরাপদ বাংলাদেশ। যেখানে ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে সবাই নিরাপদে বাঁচতে পারবে। আমাদের যে বিচার ব্যবস্থা, এখানে বিচারের জন্য লম্বা সময় লেগে যায়। এসব অপরাধের বিচার চিরাচরিত প্রথায় নয়, এর জন্য আমরা চাই বিশেষ আইন। যাহাতে অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা যায়। যারা এসকল ঘটনা ঘটায় তাদের অনেকেই ক্ষমতাধারী। যার জন্য অনেক সময় তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। আমরা চাই তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
পরিশেষে বক্তারা মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, ৬ই এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রের ছাদে নুসরাতকে চারজন মিলে হাত-পা বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর আগে ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হন নুসরাত। এ ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেছিলেন। আসামিপক্ষ নানাভাবে চাপ প্রয়োগের পরও নুসরাতের পরিবার মামলা তুলে নেয়নি। পরে গত ১০ই এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন নুসরাতকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
কমেন্ট